সব দোষ পলিথিনের না

সব দোষ পলিথিনের না

Other

আজ ঢাকা শহর আরেক দফা পানিতে ভাসবে। নিউজ হবে, কর্মকর্তারা বলবেন আগামী বছর এমন হবে না (২০ বছর ধরে এটা শুনছি)। ফেসবুকের নিউজ ফিড ভেসে যাবে জলাবদ্ধতার ছবিতে। কিন্তু আসলে পলিথিনই কি একমাত্র ক্রিমিনাল এজন্য! আর কেউ না? সমস্যাটা আসলে কোথায়! এটা আমাদের মস্তিস্কের সমস্যা।

যুগ যুগ ধরে চলা ভয়াবহ দুর্নীতির সমস্যা।

১। পলিথিন উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে ব্যার্থ হয়েছে সব সরকার। পলিথিনের বিকল্পও দিতে পারেনি তারা।

 

২। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যাবস্থা কার্যত অকার্যকর। অধিকাংশ ড্রেন অচল কারন সেগুলো ত্রুটিযুক্ত আর নিন্মমানের হওয়ায় প্রবাহহীন, ইঁদুরের মাটি, মশা আর আবর্জনার দখলে।

৩। শহরের ফুটপথে লক্ষাধিক (আনুমানিক) মৌসুমী ফল বিক্রেতা ( আম, জাম, লিঁচু, ডাব, তাল), কাঁচা মরিচ থেকে ব্লেন্ডার, শার্ট প্যান্ট থেকে শুরু করে মাদুলি বিক্রতা তাদের ব্যাবসা করেন। ফুটপথে বসতে হলে তাদের প্রত্যেকেকেই প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নগদ দিতে হয়।  

প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা ক্যাশ কালেকশন হয় যার এক টাকাও সরকারের কোষাগার যায় না। তাহলে এই টাকা যায় রোথায়! সবাই জানে এই টাকা কোথায় যায়, কার কত অংশ। অথচ এরা প্রতিদিন টনকে টন বর্জ্য ফেলে রাস্তায় বা রাস্তার ধারে যার একটা বড় অংশ ড্রেনে ফেলা হয়।  

আরও পড়ুন


দশ বছরে ৪ বার পিছিয়েছে সময়সীমা, অগ্রগতি মাত্র ২৬ ভাগ (ভিডিও)

ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান হলেন শতরূপা বড়ুয়া

বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা: ওবায়দুল কাদের

টগর হত্যা মামলা: ২৭ বছর পর মূল আসামিসহ ১৮ জনকে খালাস


এদের কাছ থেকে যারা টাকা কালেক্ট করে তারা কাস্টমস, ভ্যাট বা এনবিআর থেকেও শক্তিশালী। এক টাকাও ফাঁকি দেয়ার উপায় নেই। বাল্ব ব্যাবহার করলে প্রতি বাল্বের জন্য প্রতিদিন ৫০ টাকা। সাপ্তাহিক বা মাসিক চুক্তিও আছে।

এসব আবর্জনার দায় কার! পুরো ঢাকা শহর হকারদের দখলে দিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন সভ্য দেশের রাজধানী এমন না। সারা দেশের শহরগুলোর রাস্তা, ফুটপাথের একই দশা।  

অবৈধ বাণিজ্য আর দখল। এগুলো দেখা, সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ যাদের নেয়ার কথা তারা ব্যাস্ত অন্য কাজে। সব দোষ পলিথিনের উপর চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই। নিউজে হোক বা সেমিনারে, সব দোষ পলিথিনের উপর চাপাবেন না প্লীজ। আসল জায়গায় হাত দেন।  

news24bd.tv / কামরুল 

এই রকম আরও টপিক