১০ হাজার কনস্টেবল নেবে পুলিশ, আসছে আবেদন যোগ্যতায় পরিবর্তন

১০ হাজার কনস্টেবল নেবে পুলিশ, আসছে আবেদন যোগ্যতায় পরিবর্তন

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ পুলিশ নিয়মিত ট্রেইনি ক্রিুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লোকবল নিয়োগ দেয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।  

পুলিশের মানবসম্পদ শাখা থেকে জানা গেছে জুন মাসেই প্রায় ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতায় এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এবার যেসব পরিবর্তন
কনস্টেবল পদে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা এইচএসসি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এতদিন পুরুষদের কনস্টেবল হওয়ার জন্য উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও নারীদের জন্য ৫ ফুট ২ ইঞ্চি ছিল। এবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নারীদের উচ্চতার মানদণ্ড ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি করা হতে পারে।

আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছর।

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি
কনস্টেবল নিয়োগে সাধারণত তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম ধাপে হয় শারীরিক পরীক্ষা। দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা ও চূড়ান্ত ধাপে হয় মৌখিক পরীক্ষা। প্রস্তুতির মূল জায়গা এই তিনটি ক্ষেত্রেই।

শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাধারণত বয়স, বুকের প্রস্থ, উচ্চতা ও ওজন মাপা হয়। এছাড়া ক্ষেত্রবিশেষ লং জাম্প পরীক্ষাও হয়। ফলে যারা পুলিশে কাজ করতে আগ্রহী সবাইকে ওজন, সুস্বাস্থ্য ও লং জাম্পের প্র্যাকটিস করতে হবে। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া ও ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

অনেকেই আছেন কয়েক মিটার দৌড়েই হাঁপিয়ে যান কিংবা মাঝপথে পড়ে যান। এমন হলে কনস্টেবল নিয়োগের প্রাথমিক বাছায়ে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত দৌড় ঝাপের প্র্যাকটিস করতে হবে।

লিখিত পরীক্ষা
শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। পূর্ণমান থাকবে ৪০। এরমধ্যে সাধারণত বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ গণিত থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্য বই থেকেই প্রশ্ন করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেতে হবে কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নম্বর।

চূড়ান্ত পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এতে থাকবে ২০ নম্বর। চাকরি পাওয়া ক্ষেত্রে ভাইভা পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

বেতন ও অন্যান্য সুবিধা
ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চলাকালে পাওয়া যাবে পোশাক, থাকা খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা। পাশাপাশি দেওয়া হবে ৫০০ টাকা হারে মাসিক ভাতা।

চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন প্রদান করা হবে ১৭তম গ্রেডে। পাওয়া যাবে পোশাক সামগ্রী, ঝুঁকি ভাতা, চিকিৎসা সুবিধা এবং স্বল্পমূল্যে রেশন সামগ্রী। রয়েছে পদোন্নতিসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার সুযোগও।

news24bd.tv/আলী