দাড়ি কামাতে মোদিকে ১০০ টাকা পাঠালো চা বিক্রেতা

দাড়ি কামাতে মোদিকে ১০০ টাকা পাঠালো চা বিক্রেতা

অনলাইন ডেস্ক

দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমছে। বাড়ছে বৈষম্য, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি। এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে মোদিকে বেকারত্বের সমস্যা জানিয়ে চিঠি লেখার সাথে সাথে দাড়ি কামানোর জন্য পাঠালেন ১০০ টাকা। সাথে একটি বার্তা, ‘এই ১০০ টাকা দিয়ে দাড়ি কামিয়ে ফেলুন।

মুম্বইয়ের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর সম্প্রতি আলোড়ন তৈরি করেছে। জানা গেছে, অনীল মোরে নামক এক চা বিক্রেতা মোদিকে দাড়ি কামানোর জন্য ১০০ টাকা পাঠিয়েছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম এই সময় জানিয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে হতাশ অনীল। করোনা সংক্রমণের কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মহারাষ্ট্রের ইন্দাপুর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে চায়ের দোকান অনীলের। চোখের সামনে নিজের ব্যবসার পাশাপাশি বহু বন্ধু, প্রতিবেশীদের কাজ হারাতে দেখেছেন তিনি।  
অনীল বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি তার দাড়ি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তার দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি, টিকাকরণে গতি আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। করোনার দুটি ঢেউ সাধারণ মানুষকে যে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তারা সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে, তা দেখা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর। '
এই চা বিক্রেতা আরও বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি। এই টাকা দিয়ে উনাকে দাড়ি কামিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করতে চাইছি না। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের গরিব মানুষরা যেভাবে সমস্যায় ভুগছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র খোঁজ রাখছেন না। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। '


আরও পড়ুন


নতুন প্রজাতির ৯৮ ফুট দীর্ঘ ডাইনোসরের সন্ধান অস্ট্রেলিয়ায়

কম ভাড়ায় ৪ বিভাগে পুলিশ বাস সার্ভিসের যাত্রা শুরু আজ

আগের প্রেমিকার ঘরেও ছেলে আছে যশের, জানুন নুসরাত-যশের অজানা কাহিনী

জনসম্মুখে থাপ্পড় খেয়ে যা বললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ


এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অনীল আরও লিখেছেন, যেসব পরিবার করোনায় পরিজনকে হারিয়েছেন তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা উচিত কেন্দ্রের এবং যে সমস্ত পরিবার লকডাউনের জন্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি।

news24bd.tv / নকিব