করোনা সংক্রমণ থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষার এত কথা বলা হচ্ছে, অথচ সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের নতুন করে উপদ্রুত জেলাগুলো থেকে ঢাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করছে। একেই বলে বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতি দ্রুত করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংক্রমণ ভারত থেকে এসেছে এবং এর মধ্যে ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারাইটির ভাইরাস থাকতে পারে, যা অনেক দ্রুত ছড়ায়।
বাংলাদেশে সম্ভবত প্রথমবারের মত সেসব উপদ্রুত অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে সংক্রমণের কমিনিউটি সারভ্যেইলেন্সের অংশ হিসাবে সীমিত আকারে হলেও এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে শতকরা ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনের জন্য স্থানীয় প্রসাশনের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে অনেকগুলো ব্যবস্থা নিয়েছেন, যদিও সংক্রমণের হার এখনো বাড়ছে।
গতবছর করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুর সিংহভাগ হয়েছে ঢাকা এবং এরপর চট্টগ্রামে। ইতিমধ্যে ঢাকা সহ দেশের আন্যান্য স্থানে সংক্রমনের হার প্রায় নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছিল।
নতুন করে উপদ্রুত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো এবং ত্রাণ কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং সেখানে স্বাস্থ্যসেবাও জোরদার করা দরকার। তবে শুধু পণ্য পরিবহন ছাড়া ঢাকার সঙ্গে অনান্য যোগাযোগ সামায়িক বিছিন্ন রাখলে বড় কোন ক্ষতি হবার কারণ নেই। সরকারের প্রনোদনা প্যাকেজের অংশ হিসাবে এসব পরিবহনের শ্রমিকদের সামায়িক বেতনভাতার যোগান দেয়াও তেমন কোন ব্যাপার হবার কথা নয়।
আরও পড়ুন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু-শনাক্ত বাড়ল
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
তিন সংসদীয় শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন
পাকিস্তানি সিরিয়ালে বাংলা ভাষার গান ভাইরাল (ভিডিও)
news24bd.tv / কামরুল