সরকারের সমালোচনা এবং সরকারী বৃত্তি!

সরকারের সমালোচনা এবং সরকারী বৃত্তি!

Other

যারা বলেন বাংলাদেশে সরকারের সমালোচনা করা যায় না, তারা মিথ্যে বলেন। অথচ বাস্তবতা পুরোটা উল্টো। এখানে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেও যে যার মত সরকারের সমালোচনা করতে পারে। বরং ক্ষেত্র বিশেষে সরকারের সমালোচনাকারীরা পুরস্কৃতও হয়।

ইনবক্সে একজন তরুণীর অনেকগুলো স্ট্যাটাস পেলাম। সেই সাথে তরুণীর মেধার সাফল্যও। আপনাদের সাথে সবগুলো শেয়ার করবার লোভ সামলাতে পারছি না। ইনবক্সে প্রাপ্ত স্ট্যাটাসসমূহ এবং তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার ভীষণ আনন্দিত বোধ করবারই কথা।

সরকারকে এমন তুলোধুনা করার পরও তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এমফিল করবার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন। তার মানে কী? মেধার প্রতিযোগিতায় দেশে বর্তমানে কতটা নিরপেক্ষ পরিবেশ বিরাজ করছে, ভাবা যায়?

২০০১ সালের কথা মনে পড়লো। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আবেদন করে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি স্কলারশীপ পাওয়া সত্ত্বেও সে সময়ের জামাত-বিএনপি সরকার আমার স্কলারশীপটি বাতিলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।

আরও পড়ুন


স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে কানাডার ফেডারেল রাজনীতিক গ্রেপ্তার

ফ্লয়েডকে নির্যাতনের ভিডিও করা সেই কিশোরী পেলেন পুলিৎজার পুরস্কার

গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের উৎসমূলে মারাত্মক আঘাত হেনেছি: হামাস

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস আজ


তাদের ধারণা ছিল, আমি হয়তো বাংলাদেশ সরকারের আনুকূল্যে কোন বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া পড়তে গেছি। তারা একবারো ভাবে নি যে সেই সময়ে আর্সেনিক সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণার জগতে আমার কাজের সুবাদে আমি বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিতি পেয়েছিলাম। সেইসব হয়রানির দিনগুলো মনে পড়ে গেল।

আজ ২০২১ সালে সরকারের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় সমালোচনাকারী তরুণী পায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বৃত্তি! তার গবেষণার আবেদনপত্রটি দেখার সুযোগ পেলে ধন্য হতাম। অচেনা, মেধাবী এই তরুণীকে অভিনন্দন। চিয়ার্স!

মোহাম্মদ আবুল হাসনাত মিল্টন, নিউক্যাসেল, অস্ট্রেলিয়া।

news24bd.tv আহমেদ