কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগ নেতা বাদলের উপর কাদের মির্জার অনুসারিদের হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগ নেতা বাদলের উপর কাদের মির্জার অনুসারিদের হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর

Other

এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে বসুরহাট পৌর শহরের ইসলামি ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাংচুর করে।

বাদলের অনুসারীরা জানান, শনিবার সকালে মেয়র কাদের মির্জা তার ৩০-৩৫ জন অনুসারী নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দিচ্ছিলেন।

এসময় বাদল ও সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। তারা ইসলামি ব্যাংকের সামনে দাঁড়ালে কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা বাদল ও আলালের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাদলকে মারধর করলে তার কানের একটি অংশ ছিড়ে যায়। পরে একজন রিকশা চালক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়, পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাদলকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এসময় হামলাকারীরা বাদলের ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙচুর করে।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথা, চরএলাহী ও চর ফকিরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীধ মঞ্জু বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বসুরহাট হয়ে রহনা করে। যাত্রা পথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জা তার ৪০-৫০জন অনুসারী নিয়ে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, খান শিহাব, সজল, আরিফ, ওয়াসিমসহ ৪০-৫০জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতি রোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

আরও পড়ুন


সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

অবিরাম এই যুদ্ধ মানুষকে কখনো কখনো অন্ধ বানিয়ে দেয়

জি-৭ সম্মেলন: চীন তাহলে সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর!

আবারও সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বিয়ের সাজে শ্রাবন্তী!


উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা প্রথমে তার গাড়ির পিছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতি রোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা পাটিয়ে দেয়, পা ও বুকের হাড় ভেঙ্গে দেয় এবং কানে গুরুত্বর জখম করে।

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাদলকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি পুলিশকে জানান, আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীরা বাদলের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।  

প্রসঙ্গত, এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীর উপরও হামলা করা হয়েছে। নূর নবী চৌধুরী এখনও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

news24bd.tv আহমেদ