মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করলো পুলিশ। রোববার সকালে সদর মডেল থানায় মামলটি করে এসআই মো. খসরুজ্জামান। এ সময় ৯৬জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
পরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মৌলভী আছমত আলী খানকে নিয়ে কটূক্তি করেছে-এমন অভিযোগ তুলে সাহাবুদ্দিন মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শাজাহান খান গ্রুপের লোকজন।
এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে সদর উপজেলার কলাবাড়িতে একই স্থানে মানবববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় শাজাহান খান গ্রুপ ও সাহাবুদ্দিন মোল্লা গ্রুপ সমর্থক কর্মীরা।
পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় বাহাউদ্দিন নাছিম পুন্থি নেতা সোহরাব সরদার বাদী হয়ে ৩২ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাজাহান খান গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন:
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ: মাঠে যাওয়ার সময় আম্পায়ারদের গাড়িতে হামলা
১০ বছরের জেল হতে পারে নেতানিয়াহুর: ইসরাইলি আইনজীবী
এবার ফিলিস্তিনি নারীকে গুলি করে হত্যা ইসরাইলি বাহিনীর
বিয়ের আসরে নকল গহনা, মারামারি পরে ক্ষতিপূরণ রেখে তালাক
মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ১৩জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং অন্যটির নেতৃত্ব দেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা বাহাউদ্দিন নাসিমের অনুসারী।
news24bd.tv নাজিম