মদ পানে গভীর রাতে যুবক-যুবতী নিয়ে ক্লাবে যেতেন পরীমনি

মদ পানে গভীর রাতে যুবক-যুবতী নিয়ে ক্লাবে যেতেন পরীমনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায়শই মাঝ রাতে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে যেতেন বর্তমানের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। কিন্তু মানতেন না কোনো নিয়ম কানুন। নিজের খেয়াল খুশিমত গভীর রাতে বিভিন্ন যুবক-যুবতী নিয়ে মদ্যপান করতেন।   

পুলিশ ও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, পরীমনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন যুবক-যুবতী নিয়ে প্রায়রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন।

তাদের সঙ্গে নিয়ে মদ পান করতেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পড়ে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না কখনোই। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।

ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ৮ জুন রাতে পরী মনির ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরেন।

news24bd.tv

ক্লাবের সভাপতি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী রাত ১১টায় ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত প্রায় ১টা ৪০ মিনিটের দিকে পরী মনি এক সদস্যের মাধ্যমে ক্লাবের বারে প্রবেশ করে মদ অর্ডার করেন। মদের একটি বোতল তার টেবিলেও দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েটাররা পরিবেশন করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন পরীমনি। এক পর্যায়ে ১৫টি গ্লাস, ৯টি স্ট্রে ও বেশ কিছু গ্লাস ভাঙচুর করে বেরিয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন।

বুধবার (১৬ জুন) অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, পরীমণি ওই ক্লাবের সদস্য নন। ৮ জুন (মঙ্গলবার) রাতে তিনি ক্লাবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা ও তর্কবিতর্ক হয়। ঘটনাস্থল থেকে একজন জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, ৯৯৯ থেকে গুলশান থানায় ফোন করলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখতে পায়। এরপর পুলিশ থানায় ফিরে এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে গোটা বিষয়টি থানায় অবগত করে।

গুলশান থানা জানায়, সাধারণত ৯৯৯ থেকে কোনো ডাক পেলে সেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কী পেল না পেল ইত্যাদি অবগত করতে হয়। তার অংশ হিসেবেই সেদিনের ক্লাবের ঘটনাটি পুলিশ জিডি আকারে লিখে রাখে।

জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, এটা ফালতু একটা অভিযোগ। এত দিন পরে কেন এই অভিযোগ?

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯–এর একটি কলে গুলশান থানা-পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে ক্লাবে গ্লাস ভাঙচুর করেছেন পরীমনি। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি।

৮ জুন পরীমনি ঢাকা বোট ক্লাবে গেলে সেখানে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় গত সোমবার ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত এই নায়িকা। মামলার পর পুলিশ প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

news24bd.tv/আলী