ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার তাগিদ

Other

দুশ্চিন্তার নতুন নাম ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ পাচার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। মহামারির সময়ে অন্য মাধ্যমে পাচার কিছুটা কমে আসলেও বাড়ছে ডিজিটাল মাধ্যেমে।  

বিশেষজ্ঞ বলছেন, উঠতি এসব পাচারকারিদের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

পাশাপাশি যেসব অর্থ এরই মধ্যে দেশ থেকে পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনার তাগিদ তাদের।  

করোনা মহামারিতে বাড়ছে রেমিট্যান্স, কমে আসছে অর্থপাচার এমন স্বস্তির মধ্যে নতুন অস্বস্তির নাম ডিজিটাল মাধ্যমে পাচার। সম্প্রতি এমন অভিযোগে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে বেশ কয়েকজন উঠতি বয়সি তরুন-তরুনীকে।  

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিডিও স্টিমিং অ্যাপ বিগো, লাইকির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ডায়মন্ড বিক্রি করেন তারা।

এতে দেশ থেকে প্রতি মাসে কয়েকশ কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও জানায় সিআইডি।

এর সঙ্গে যুক্ত মূলত বিত্তবান তরুন-তরুণীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর নজরদারির পাশাপাশি পারিবারিক ভুমিকার উপর জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।

অবশ্য অর্থপাচার নিয়ে দুশ্চিন্তা নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি-জিএফআই এর হিসেবে বাংলাদেশ থেকে বছরে পাচার হচ্ছে গড়ে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দূর্নীতি কমিয়ে বিনিয়োগ পরিবেশ আরেকটু ভালো করা গেলে কমে আসবে পাচার প্রবণতা। যেসব অর্থ পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে জোর দিচ্ছেন তারা।

পাশাপাশি অর্থপাচার রোধে কেন্দ্রিয় ব্যাংক, দুদক, এনবিআর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর তাগিদ বিশ্লেষকদের।   

আরও পড়ুন


অভিনব কায়দায় ব্যাংকে চুরি করতে গিয়ে আটক

নারীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে কবিরাজ, অতঃপর

পাকিস্তানের সংসদে বাজেট অধিবেশনের সময় মারামারি (ভিডিও)

চলমান ‘বিধি নিষেধ’ আরও এক মাস বাড়ল


news24bd.tv / কামরুল