ভ্যাকসিনের চুক্তি প্রসঙ্গে রাজনীতিকরা সরকারকে বরাবরই চাপের মধ্যে রেখেছে

ভ্যাকসিনের চুক্তি প্রসঙ্গে রাজনীতিকরা সরকারকে বরাবরই চাপের মধ্যে রেখেছে

Other

ভ্যাকসিনের জন্য কোম্পানিগুলোর সাথে কানাডা যে চুক্তি করেছে তাতে কী আছে? রাজনীতিকরা এই প্রশ্নে সরকারকে বরাবরই চাপের মধ্যে রেখেছে। ‘ভ্যাকসিনের চুক্তিতে গোপনীয়তার শর্ত- ’কনফিডেনশিয়েলিটি ক্লজ’ আছে- আমি এটা ভাঙতে পারি না ‘- ফেডারেল ক্রয়মন্ত্রী  অনিতা আনন্দের এটা ডিফেন্স পয়েন্ট হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে সবকটি চুক্তিই  হাউজ অব কমন্সের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে হয়েছে।  

আটটি কোম্পানির সাথে সম্পাদিত ফেডারেল সরকারের ভ্যাকসিন কেনার চুক্তির বিস্তারিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা খতিয়ে দেখেছেন। এখন পর্যন্ত কমিটি এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেননি।

কমিটিতে থাকা সরকার বা বিরোধী দলীয় কোনো সদস্যই চুক্তিতে কী আছে তার বিস্তারিত তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেননি।

তবে একটি তথ্য অবশ্য বাইরে চলে এসেছে। আটটি চুক্তির অন্তত তিনটি কোম্পানির সাথে সম্পাদিত চুক্তিতে ‘কানাডা চাইলে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন অন্য কোনো দেশ বা সংস্থাকে অনুদান হিসেবে দিতে পারবে বা বিক্রি করতে পারবে’- বলে উল্লেখ আছে। অর্থ্যাৎ অতিরিক্ত ভ্যাকসিন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দিয়ে দেয়ার জন্য কানাডার সুশীল সমাজ যে দাবি তুলেছে সেটি অনুসরণ করতে ট্রুডো সরকারের আইনি বা চুক্তিগত কোনো সমস্যা নাই।

ভ্যাকসিনের মতো স্পর্শকাতর এবং অতি জরুরী একটি বিষয় নিয়ে বিদেশি কোম্পানির সাথে সম্পাদিত চুক্তির স্বচ্ছতার যে দাবি উঠেছিলো- ট্রুডো সরকার সেটি অনুসরণ করতে পেরেছে। মিডিয়া এবং সংসদীয় কমিটি- চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ না করে নিজেদের দায়িত্বশীলতাকেও সমুন্নত রেখেছে।

news24bd.tv/এমিজান্নাত