সাজার ভয়ে ৩২ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মতিনের

সাজার ভয়ে ৩২ বছর পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না মতিনের

অনলাইন ডেস্ক

একটি মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছিল আবদুল মতিনের (৬০)। সেই ভয়ে তিনি টানা ৩২ বছর পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রাম থেকে গতকাল সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাটের কালাই থানা-পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার তাঁকে কারাগারে পাঠানোর কথা।

ওই আসামির বাড়ি কালাই উপজেলার ইটাইল গ্রামে। একটি মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক।
কালাই থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়,  ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন ইটাইল গ্রামের সাত বছরের একটি শিশু মঞ্জুরুল হক অপহৃত হয়।

তখন মঞ্জুরুলের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আবদুল মতিন ও সাকামুদ্দিন নামে দুইজনকে আসামি করা হয়। এরপরই মতিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ওই বছরই আদালত দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। কারাভোগের পর সাকামুদ্দিন ছাড়া পেলেও মতিনের কোনো হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে কালাই থানা-পুলিশের কাছে ধরা পড়লো সে।

আবদুল মতিন বলেন, তিনি সাজা ভোগ করার ভয়ে পালিয়ে ছিলেন। এত দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে, এটা তিনি কখনো ভাবেননি।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, আবদুল মতিন ৭ বছর সাজা খাটার ভয়ে ৩২ বছর পালিয়ে ছিলেন।

news24bd.tv/এমিজান্নাত