পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড, দাফনের ১৫ দিন পর তরুণীর লাশ উত্তোল

পরিবারের দাবি হত্যাকাণ্ড, দাফনের ১৫ দিন পর তরুণীর লাশ উত্তোল

Other

প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাড়ি থেকে বান্ধবীকে দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও নির্মম নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে দাফনের ১৫ দিন পর কবর থেকে ইসরাত জাহান মীম (২০) নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে আদালতের নির্দেশনায় নগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে তার লাসগ উত্তোলন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট  ও মামলার তদন্তকারী কর্মকমর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্র বলছে, আমাশু কুকরুল এলাকার সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেকের মেয়ে রংপুর সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান মীমকে স্থানীয় বখাটে আল আমিন ওরফে টাইগার দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মীমের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার প্ল্যান করে আল আমিন ওরফে টাইগার এরপর তার বন্ধু মুন্না ও বোন আইভীকে দিয়ে মীমকে ডেকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

নিহতের ফুপু শারমিন আক্তার জানান, হত্যাকাণ্ডের দিন মীমকে ডাকতে আইভী বাড়িতে বারবার আসে। পরে মীমের মা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে হাঁটতে যাবার কথা বললে দুজনে হাঁটতে বের হয়। পরে রাত হলেও বাসায় না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা।

আইভীর বাড়িতে গিয়ে দেখে বাড়িতে তালা দেয়া। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যয়ে রাত সাড়ে দশটায় দেখে আইভী, তার মা, ও তার ভাই মুন্না ওদিক রাস্তা দিয়ে আসছে। তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে সে তো সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তাকে আর পাওয়া যায় না।

পরে ভোরে পৌনে ছয়টায় মসজিদের মোয়াজ্জিন লোকমান হোসেন পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে চিল্লানো শুরু করলে লোকজন এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে এলাকার লোকজন তাড়াহুড়ো করে স্থানীয় কবরস্থান রেখে দূরে মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করে ফেলে।

ঘটনার পর এলাকায় কানাঘুষা শুরু হলে নিহতের মা নার্গিস বেগম ১৬ই জুন রংপুর মেট্রোপলিটন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (পরশুরাম) এ মামলা করেন। শুনানি শেষে আদালত পরশুরাম থানাকে এজাহার গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন বিচারক শেখ জাবিদ।

আদালতের নির্দেশে ওইদিনই মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। পরেরদিন আল আমিন, মুন্না ও আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৮ তারিখে লাশ উত্তোলনের আদেশ ও ১৯ তারিখে আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

নার্গিস বেগম আরও জানান, দাফনের আগে গোসল করানোর সময় মীমের খালা ও চাচী মাথা, গলা ও শরীরে নির্যাতনের দাগ দেখতে পায় কিন্ত এলাকার কিছু লোকজনের চাপে বলার সাহস পায় না। এ সময় তার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

পরশুরাম থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ মামলায় এখনো তদন্ত চলছে। যারাই জড়িত থাকবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন:


চলন্ত ট্রাকে তরুণীকে ধর্ষণ, অতঃপর যেভাবে উদ্ধার

দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই অশান্তিতে ছিল আবু ত্ব-হা!

পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

আওয়ামী লীগ জন্মের ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ও সফলতা-ব্যর্থতা


news24bd.tv / কামরুল