মেয়েকে ঘরেই বছরের পর বছর ধর্ষণ, জোর করে বিয়ে

মেয়েকে ঘরেই বছরের পর বছর ধর্ষণ, জোর করে বিয়ে

অনলাইন ডেস্ক

একই ঘরে বছরের পর বছর যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে ভ্যালেরি বাকোটকে। যখন সে ১২ বছর বয়সের কিশোরী তখন থেকেই তাকে নিজ ঘরে ধর্ষণ শুরু করেন তার সৎ বাবা ড্যানিয়েল পোলেট। শুধু ধর্ষণ নয় তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতে চেয়েছিলেন ড্যানিয়েল। কিন্তু এই নারকীয়  নির্যাতন সইতে না পেরে একদিন খুন করে বসেন সেই বাবাকেই ভ্যালেরি।

কিন্তু যখন সে পোলেটকে হত্যা করে তখন সে কাগজে কলমে তারই স্ত্রী! কারণ তাকে তার সৎ বাবা জোর করে বিয়ে করেন বেশ কিছুদিন আগে। বিয়ের পর চার সন্তানেনর জন্মও দিনে তারা। কিন্তু এসব কিছুই হয়েছে ভ্যালেরির ইচ্ছের বিরুদ্ধে!

সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফ্রান্সে ওই নারীর বিচার শুরু হয়েছে।

ভ্যালেরি বাকোট নামের ওই নারীকে ১২ বছর বয়স থেকে ধর্ষণ শুরু করে ড্যানিয়েল পোলেট।

এ ঘটনায় তার কারাদণ্ডও হয়। পরে জেল খেটে আবারও ফিরে আসেন তিনি। শুরু হয় আবারও অত্যাচার। এরপর ভ্যালেরিকে জোর করে বিয়ে করেন ড্যানিয়েল। চার সন্তানের বাবাও হন তিনি।

কিন্তু এতদিন ধরে অত্যাচার সইতে সইতে অধৈর্য হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করেন ভ্যালেরি। তবে ভ্যালেরি পক্ষে জনসমর্থন গড়ে ওঠে। এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি মানুষ তার মুক্তির দাবিতে একটি পিটিশনে সই করেছে।

ভ্যালেরি জানান, তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতে চেয়েছিলেন ড্যানিয়েল। তাই বাধ্য হয়ে তিনি তাকে হত্যা করেন। পরে তার দুই সন্তানের সাহায্যের ড্যানিয়েল লাশ লুকান ভ্যালেরি। তবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ভ্যালেরিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি এই হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ভ্যালেরির আইনজীবীরা জানিয়েছে, ২৫ বছর ধরে চরম সহিংসতার শিকার হয়েছেন তিনি। তার মেয়েও একই ধরনের আচরণের শিকার হতে পারেন, এই ভয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড চালান।

news24bd.tv/আলী