বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে ফানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১) নামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
বুধবার বিকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে এ ঘটনা ঘটে। নদীর বাবা রফিকুল ইসলাম পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। বরগুনা জেলার বেতাগীতে তাদের বাড়ি।
বর্তমানে মালিবাগ ৩৯১ গুলবাগের ৫ম তলায় এক বান্ধবীসহ সাবলেট থাকতেন নদী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে নদী ছিলেন বড়। দুজনই পড়াশোনার পাশাপাশি আমজারা নামে একটি বোরকা কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তার রুমমেট বান্ধবী মারিয়াম জানান, তিনি ও রুবিনা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন।
নদীর খালাতো বোন শরিফা সুলতানা জানান, সায়েমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পরও বিভিন্ন সময় নদীর বান্ধবী মারিয়ামের ফোনে তাদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি, ভিডিও পাঠাতো। মারিয়াম তা নদীকে দেখাতো। পরে তা ডিলিট করে দিয়েছিল। এসব নিয়ে নদী মানুসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
শরিফা সুলতানার দাবি, ওই ছেলের এসব আচরণের কারণেই নদী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
আরও পড়ুন
কলম্বিয়ার বিপক্ষে অনেক কষ্টে জয় পেল ব্রাজিল
রাশিয়ার আক্রমণে পালিয়েছে ব্রিটিশ যুদ্ধ জাহাজ, বেড়েছে উত্তেজনা
অবশেষে নকআউট নিশ্চিত করল জার্মানি
রোনালদোর বিশ্ব রেকর্ড, নকআউট পর্বে পর্তুগাল
রুমমেট মারিয়ম জানান, নদী এদিন কাজে না গেলেও তিনি নিজে কাজে চলে যান। বিকাল ৩টার সময়ে নদী তাকে ফোন করেন। নদী তাকে জানান, ‘আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আসিস, আমি মরে যাব। ’
মারিয়ম আরও জানান, কিছু সময় পরে নদী তাকে ভিডিও কল দেন। তিনি দেখান ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বাঁধছিলেন। এটা দেখেই তিনি দ্রুত অফিস থেকে বেরিয়ে যান। বাসায় গিয়ে দেখেন, ঘরের ভেতর দিয়ে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। তারা এলে তাদের সহযোগিতায় ছিটকানি ভাঙেন। তখন তারা নদীকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তারা সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
news24bd.tv এসএম