সিলেটের ট্রিপল হত্যা: দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে মাছ ভেবে কুপিয়ে হত্যা করে হিফজুর

সিলেটের ট্রিপল হত্যা: দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে মাছ ভেবে কুপিয়ে হত্যা করে হিফজুর

অনলাইন ডেস্ক

গত ১৬ জুন সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই শিশু সন্তানসহ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। সে সময় গৃহকর্তা হিফজুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও পুলিশের সন্দেহের আঙ্গুল ছিলো তার দিকেই।

শিশুসহ সেই ট্রিপল হত্যার রহস্যের জট খুলেছে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ওই দুই শিশুর বাবা হিফজুর রহমান (৩৮)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে সিলেটের বিচারিক হাকিম (গোয়াইনঘাট) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কিভাবে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিচারিক হাকিম আলমগীর হোসেনের আদালতে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে হিফজুর বলেন, ‌১৫ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘুমানোর পর স্বপ্নে দেখেন ঘরের ভেতর অনেক মাছ ঢুকেছে। পরে তিনি স্বপ্নের মধ্যে সেই মাছ দা (বটি) দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করেন। পরে স্বপ্নের ঘোর কাটার পর তিনি বুঝতে পারেন তিনি স্বপ্ন দেখে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে দা দিয়ে কেটে হত্যা করেছেন।

স্বপ্নের মধ্যে তার নিজের শরীরেও দা দিয়ে আঘাত করেন হিফজুর। এ কথা জানিয়ে আদালতে হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন তিনি।

এর আগে, গত ১৬ জুন হিফজুরের শয়নকক্ষ থেকে স্ত্রী আলেমা বেগম, ৮ বছরের ছেলে মিজানুর রহমান ও ৩ বছরের মেয়ে আনিশার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় লাশের ওপর অনেকটা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পরেছিলেন তিনি। নিহতদের গলা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ ছিল। এর মধ্যে স্ত্রী আলিমার শরীরেই ছিল ৯টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত। ওই দিন সকালে আহতাবস্থায় হিফজুরকেও উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।

আরও পড়ুন


মার্কিন সেনাবাহিনীতে আত্মহত্যার প্রবণতা খতিয়ে দেখছে পেন্টাগন

দাম্পত্য জীবন সুখের করতে বিশ্বনবীর উপদেশ

সূরা ইয়াসিন: আয়াত ৪৫-৫০, দুনিয়া ও আখেরাতের শাস্তি

যেসব কারণে গণপরিবহন বন্ধের কথা বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা


গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) দিলীপ কান্তি নাথ হিফজুরের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।

গত ১৯ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হিফজুরকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ বলে ছাড়পত্র দেন। এরপর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক দিলীপ কান্তি নাথ। এই আবেদনের শুনানি শেষে গোয়াইনঘাটের বিচারিক আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষের একদিন আগেই হিফজুর বৃহস্পতিবার এই স্বীকারোক্তি দেন।

news24bd.tv এসএম