১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা: সন্দেহভাজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণ-হত্যা: সন্দেহভাজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার রাতে ললিতনগর এলাকায় পুলিশ টহলের সময় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।

নিহত যুবকের নাম শামীম  হোসেন (২১)। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে চুরি হওয়া একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলামের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এ সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।

এতে একজন গুলিবিদ্ধ হন। শুক্রবার সকালে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।

আরও পড়ুন:


ভূমধ্যসাগর থেকে ২৬৪ বাংলাদেশি উদ্ধার

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাল ইভ্যালি

নোয়াখালীতে করোনায় দুজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬


ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি ও দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ।

ওসি আরও বলেন, গত ২০ জুন গোদাগাড়ীতে ধর্ষণ ও হত্যার পর বাড়ির পাশে খড়ের গাদার নিচ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার ঘটনার দিন পাশের বাড়ি ও সেই বাসা থেকে দুটি ফোন হারিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির কাছে থেকে দুটি ফোনের একটি ফোন পাওয়া গেছে।

এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের ললিতনগর শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। নিহত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে। এরপর একাই ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের গাদার নিচে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান।

পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টায় ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছেন শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত।

news24bd.tv / তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর