নাতিকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার দাদি

নাতিকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার দাদি

নাসিম উদ্দীন • নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামের মানগাছা খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে ৪ বছর বয়সী নাতিকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দাদি। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।  

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি  মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার জোনাইল পার্বনী গ্রামের আলফ্রেড কস্তার ছেলে বিপ্লব কস্তার সাথে বিয়ে হয় একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের মানগাছা গ্রামের মন্টু দাসের মেয়ে দিথি দাসের।

তাদের ঘরে কাব্য কস্তা নামে ৪ বছরের এক সন্তান রয়েছে।  

বিয়ের পর স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে- এমন সন্দেহে বিপ্লবের সাথে বিপ্লব-দিথির মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এসব সইতে না পেরে স্ত্রী দিথি দাস তার ৪ বছরের ছেলে কাব্যকে মানগাছা বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় চাকরিতে যোগদান করেন।  

গেল শুক্রবার বিকেলে আদরের নাতিকে দেখতে বিপ্লবের চাচি নির্মলা রিবেরু দিথিদের বাড়িতে যান।

এ সময় দিথির মা রমনি পাল, বোন পপি দাসসহ পরিবারের অন্যান্যরা ওই বৃদ্ধার ওপর হামলা চালায়। পপি দাস ইট দিয়ে শিশুটির দাদির মাথায় আঘাত করেন। তা ঠেকাতে এসে ওই ইটেরই আঘাতে জখম হন দিথির মা রমনি পাল।  

পরবর্তীতে জোনাইল খ্রিস্টান প্যারিস কাউন্সিলে নির্মলা রিবেরু বিচার প্রার্থনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রমনি পাল বাদি হয়ে দিথির শ্বশুরবাড়ির পরিবারের ৬ সদস্যকে আসামি করে থানায় উল্টো হত্যা চেষ্টায় হামলা মামলা দায়ের করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন ডালু জানান, এই তুচ্ছ ঘটনাটি গ্রাম আদালতেই নিষ্পত্তি করা যেতো। কিন্তু দীর্ঘদিনের পারিবারিক ক্ষোভ ঝাড়তেই থানায় মামলা দায়ের করেছে।  

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহরিয়ার খাঁন জানান, মামলার বাদিকে বুঝানো হয়েছিলো বিষয়টি প্যারিস কাউন্সিল বা ইউনিয়ন পরিষদে সুরাহা করতে। কিন্তু তিনি কোন কথা শুনেননি।  

নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর