আমেরিকা ধ্বংস হবে। ইহুদিরা নিঃশ্চিহ্ন হয়ে যাবে—এইসব বয়ান সারাদিন না দিয়ে, নিজেদের অবস্থানকে বিচার-বিশ্লেষণ করুন।
প্রত্যেকটা জাতিরই ভালো দিন খারাপ দিন আসে। নেতৃত্ব, ধন-সম্পদ, জ্ঞান-বিজ্ঞানে যারা কালের শ্রেষ্ঠ থাকে, তারাই উন্নত জাতি হিসেবে পরিচয় পায়।
ইহুদিরা ধ্বংস হবে। আমেরিকা নিঃশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ইলুমিনাতির ষড়যন্ত্র! —এইগুলো সারাদিন ধরে বললে হয়তো মানুষদের তালি পাওয়া যাবে। কিন্তু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
যারা ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে, তারা ঠিকই ভাগ্য বদলাছে। এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর—এগুলোতো বাড়ির কাছের উদাহরণ!
সবকিছুতে ষড়যন্ত্র না খুঁজে, নিজেরা কি করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত হওয়া যায় সেই চিন্তা করেন। নিজেদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সামাজিক সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আচারের সংস্কৃতি কি করে উন্নত করা যায় সেগুলো পর্যালোচনা করেন। সেগুলো নিয়ে দিকনির্দেশনা দিন। সমালোচনা করুন।
কোন দেশ যদি সঠিক নেতৃত্ব না পায়, সেখানে যদি জ্ঞান-বিজ্ঞানের সঠিক সর্বোত্তম চর্চা না হয়—তা হলে সে জাতি ধ্বংস হবেই। সেটা চাইনিজ হোক, আমেরিকান হোক কিংবা রাশিয়ান হোক। আর আমরা বসে বসে যদি শুধু অন্যের ধ্বংস কামনা করি, তাতে অন্য জাতি ধ্বংস হবে না। বরং নিজেরাই আরো অধঃপতনের দিকে যাবো।
দুনিয়াতে যে আমাদের কেউ পাত্তা দেয় না—সেটা কি আমরা বুঝি?
সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খুঁজে আর অন্যদের ধ্বংস কামনা করে আমরা একটা মিথ্যা আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে পারবো। বাস্তবতা হলো, তাতে পৃথিবীর চুল সম কিছু আসে যায় না।
রউফুল আলম, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv / তৌহিদ