৩৯ বছর পর অধিকার ফিরে পেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকন

Other

মাত্র আড়াই টাকা অনিয়মের দায়ে এরশাদের সামরিক আদালতের রায়ে হারিয়েছিলেন চাকরি সেই সঙ্গে দুই মাস জেল আর অর্থদণ্ড। বলছিলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওবায়দুল আলম আকনের কথা। ৩৯ বছর পর অবশেষে নিজের অধিকার ফিরে পেলেন তিনি।  

১৯৮২ সালে কুষ্টিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেই মুক্তিযোদ্ধার দণ্ড বাতিল করে চাকরিকালীন সব সুযোগ সুবিধা দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

 

একই পরিবারের পাঁচ ভাই মুক্তিযোদ্ধা। তাদের একজন মো. ওবায়দুল আলম। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মাত্র আড়াই টাকা বেশি দামে সরকারি পাট বীজ বিক্রির অভিযোগে স্বাধীনতার ১১ বছরের মাথায় চাকরি হারাতে হয়। সামরিক শাসক এরশাদের শাসনামলে কোর্টমার্শালে তাকে দেয়া হয় ২ মাসের কারাদণ্ড সঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা।

এর পর থেকে পরিবার নিয়ে তার দিন কেটেছে নিদারুণ কষ্টে। কিন্তু চাকারিতে আর ফেরা হয়নি তার। কোন উপায় না পেয়ে ২০১৭ সালে সামরিক আদালতে সাজা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওবায়দুল।  

সেই রিটে সামরিক আদালতের সাজা বাতিল করে তার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সব বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় পাওনা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে রায়ের বিরুদ্ধে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আপিলের রায়ে শুধু সাজা বাতিলের অংশ বহাল রেখে বেতন ভাতা দেয়ার আদেশ বাতিল করা হয়। সেই রায়ে রিভিউ আবেদন করেন এই মুক্তিযোদ্ধা। রিভিউয়ের রায়ে নিজের অধিকার ফিরে পান তিনি।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এরশাদ সরকারে সময় বাবাকে মিথ্যা অভিযোগে দেয়া সাজার পর পরিবারে কঠিন সময় পার করার কথা জানালেন তার সন্তান।

২০১০ সালে এক রিট আবেদনের রায়ে সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি ১৯৮২ সালের মর্চে ঘোষিত এরশাদের সামরিক শাসন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ২০১২ সালে সামরিক আদালতের সেই সাজা ও চাকুরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওবায়দুল আকন।

news24bd.tv নাজিম