আম্মার শারীরিক অবস্থা খারাপ হবার কারণে হাসপাতালে নেওয়া খুব জরুরি হয়ে পড়ে, অফিসে যাবার পর মায়ের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পারি। শোনামাত্র সহকর্মী সবাইকে জানিয়ে বের হয়ে যাই। আমার সহকর্মীরা খুবই ভালো।
অফিস থেকে বাসা আসতে লকডাউন ছাড়া ১০-১৫ টাকা খরচ হয়, কিন্তু আজ ১২৫ টাকা।
তা নিয়েও আমার কোনো দুঃখ নেই, কিন্তু হাসপাতালে মাকে কী করে নিয়ে যাব, রাস্তায় কোনো সিএনজি নাই। মাকে আমার সিএনজিতে নিয়ে যেতে হবে। আমার তো ভাই গাড়ি নাই। তো সিএনজি আমার ভরসা, কি নাকি লকডাউন চলে সিএনজি, বাস সহ সব গণপরিবহন বন্ধ।মায়ের জন্য দোয়ার দরখাস্ত।
পরিশেষে এ কথা বলতে চাই, করোনা পরিস্থিতি দেশে অনেক খারাপ। গরিব আর মধ্যবিত্ত মানুষের কষ্ট কেউ বুজবে না, বোঝার এখন সময়ও না। ঘরে থাকুন খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হবার দরকার নাই। পৃথিবীতে আপনি সতর্কতা সাথে থাকলে হয়তো আপনার পরিবারের অন্য মানুষগুলো ভালো থাকবে। বিপদে পড়লে আল্লাহ ছাড়া রক্ষা করার কেউ নাই।
এ মুহূর্তে যাদের আপনজন অসুস্থ তারা বোঝে পৃথিবী কত কঠিন। (ফেসবুক থেকে নেওয়া)