সুইডেনকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেন

সুইডেনকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেন

অনলাইন ডেস্ক

এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের নক আউট পর্বে রোমাঞ্চের পাশাপাশি উত্তেজনা কম ছিল না। বড় দলগুলোর মধ্যে যেমন সেয়ানে সেয়ানে লড়াই অতিরিক্ত সময় কিংবা টাইব্রেকারে গড়িয়েছে, তেমনি নক আউট পর্বের শেষ ম্যাচেও ছড়িয়েছে সমান উত্তেজনা। ফেভারিটদের তালিকায় না থেকেও সুইডেন ও ইউক্রেনের মধ্যে জমাট লড়াই হলো। লাল কার্ডের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র ছিল।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহুর্তে হলো ম্যাচের নিষ্পত্তি। সেখানে ১০ জনের সুইডেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছে ইউক্রেন। কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী শনিবার ইউক্রেন মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের।

অতিরিক্ত সময়ে নেমে আসে সুইডেনের দুর্ভাগ্য।

৯৮ মিনিটে তাদের ডেনিয়েলসন প্রতিপক্ষের বেসেদিনকে পা দিয়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। সুইডেন ১০ জনের দলে পরিণত। যদিও শুরুতে রেফারি ডেনিয়েলসনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। পরে ভিএআর দেখে লাল কার্ড প্রদর্শন করতে হয়েছে।

১০ জনের সুইডেনের ওপর চাপ বাড়িয়ে দেয় ইউক্রেন। তাতে অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে সাফল্য আসে। সতীর্থের ক্রস থেকে দোভবিয়েক হেডে গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দেন।

এর আগে হাম্পডেন পার্কের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচটি কম আকর্ষণীয় ছিল না। সুইডেনের ফর্সবোর্গ তো হ্যাটট্রিকই পেতে পারতেন। প্রথমার্ধে একটি গোল করেছেন। আর দ্বিতীয়ার্ধে তার নেওয়া লক্ষ্যে দুটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে!

প্রথমার্ধে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল হয়েছে। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে এই অর্ধে। ১১ মিনিটে ইউক্রেনের ইয়ারেমচুকের শট গোলকিপার ওলসেন ফিরিয়ে দেন।

১৮ মিনিটে সুইডেনের ইসাক বক্সে ঢুকে দূরের পোস্ট দিয়ে মেরে সুযোগ হারান।

২৭ মিনিটে ইউক্রেন প্রথম গোল করে এগিয়ে যায়। ইয়ারমোলেঙ্কোর ক্রসে জিনচেঙ্কো বা পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। গোলকিপার ওলসেন বল হাত দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি।

গোল শোধে সুইডেন কম চেষ্টা করেনি। ৩০ মিনিটে অগাস্টিনসনের ফ্রি-কিক গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন।

৪৩ মিনিটে সুইডেন অবশেষে সফল হয়। ইসাক ও ফর্সবার্গের দারুণ বোঝাপড়ায় গোল এসেছে। ইসাকের অ্যাসিস্টে ফর্সবার্গ বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। বল প্রতিপক্ষের জাবারনির পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। গোলকিপার বুচানের কিছুই করার ছিল না।

বিরতির পর দুই দলেরই দুর্ভাগ্য। লক্ষ্যে নেওয়া তিনটি শট প্রতিহত হয় পোস্টে। এরমধ্যে সুইডেনের দুটি আর ইউক্রেনের একটি।

৫৫ মিনিটে ইউক্রেনের সাইদরচুকের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরের মিনিটে সুইডেন আক্রমণে উঠে। দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন ফর্সবোর্গ। কিন্তু তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এছাড়া ৬৮ মিনিটেও ফর্সবার্গের আরও একটি শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে সুইডেনের আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি।

মাঝে কুলুসেবেস্কির শট ইউক্রেনের গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন।

এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে এখন ইউক্রেন সেমিফাইনালে উঠার স্বপ্ন দেখতেই পারে।

সম্পর্কিত খবর