টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Other

টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীসহ জেলায় অন্ততঃ ৫০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।  

আজ বুধবার সকালে (৩০ জুন) ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর রক্ষা বাধ ভেঙে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বাজারসহ অন্ততঃ ৩০ গ্রাম, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদের শহর রক্ষা বাধ ভেঙে অন্ততঃ ১০ গ্রাম এবং সদর উপজেলায় আরও অন্ততঃ ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ওইসব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।  

ভেসে গেছে অন্ততঃ অর্ধশতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের। এদিকে অব্যবস্থাপনার কারণে টানা বর্ষণে শেরপুর শহরের ড্রেন উপচে কয়েকটি সড়কসহ বেশ কিছু বাসাবাড়িতে পানি ওঠেছে।

এতেও বেড়েছে শহরবাসীর দুর্ভোগ।  

জানা যায়, সোমবার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত চলা টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোঁষা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইসব নদীর পানির তোড়ে বুধবার ভোরে উপজেলা সদর রক্ষা বাঁধের দিঘীরপাড় অংশ ভেঙে পানি নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ শুরু করে।  

এতে উপজেলা পরিষদ চত্বর, সদর বাজার, ঝিনাইগাতী ইউনিয়নের কোনাগাঁও, দড়িকালিনগর, সারিকালিনগর, সুরিহারা, চতল, গজারমারী, পাইকুড়া, রামেরকুড়া, ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলি, কুচনিপাড়া, বিলাসপুর, দাড়িয়ারপাড়, হাতীবান্দা ইউনিয়নের বেলতৈলসহ অন্ততঃ ৩০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

 

ওইসব এলাকার বাড়ি-ঘরসহ কাঁচা-পাকা সড়কসহ অন্ততঃ অর্ধ-শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন ওইসব খামারিরা। ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, ঢলের পানি বাজারে প্রবেশ করে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। প্রতি বছরই পাহাড়ি ঢলে বাজারে পানি ওঠায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ সমস্যাটির স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন।  

এদিকে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর শহর রক্ষা বাধ ভেঙে শহরের শিমুলতলা (নতুন বাসস্ট্যান্ড), জেলখানা মোড়, খাদ্যগুদাম, কাচারীপাড়া, নিজপাড়া, গোবিন্দনগর, উত্তরবাজার এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়ন, মরিচপুরান ইউনিয়ন, কলসপাড় ইউনিয়ন ও নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।  

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া নালিতাবাড়ী-নয়াবিল এবং কলসপাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ওইসব এলাকা থেকে শেরপুর জেলা সদরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া শেরপুর সদর উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষীমারী, চরমোচারিয়া ও বলাইয়েরচর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে থাকা আরও অন্ততঃ ১০ গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।  

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ জানান, ইতোমধ্যে ভাঙা বাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছি। আশা করছি, বৃষ্টি কমে গেলেই পানি দ্রুত নেমে যাবে। এছাড়া ভাঙা বাঁধ দ্রুত সংস্কারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে।  

নালিতবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন বলেন, শহরের কিছু অংশসহ নয়াবিল, নালিতাবাড়ী ও মরিচপুরান ইউনিয়নের কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে বাধের ভাঙা অংশ মেরামত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:


লকডাউনে মোটরসাইকেলে কোনো আরোহী নেওয়া যাবে না

তোর যদি মেয়ে পছন্দ হয় সরাসরি অফার করবি: মারিয়া মিম

সুইডেনকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেন

কঠোর লকডাউনে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলে যে সিদ্ধান্ত হলো


news24bd.tv / কামরুল