মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরাদের মধ্যে বাংলাদেশি কিশোয়ার

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলেই রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচার হয়ে থাকে। তবে আন্তর্জাতিক মানের রান্নার অনুষ্ঠান হিসেবে মাস্টারশেফ জায়গা করে নিয়েছে শীর্ষে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই এই মাস্টারশেফ ফ্যাঞ্চাইজির প্রতিযোগীতার আয়োজন হয়ে থাকে, সেরা রাধুনী খুঁজতে। এ বছর অস্ট্রেলিয়াতে চলছে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম সিজন।

 

তবে এবারের আয়োজন বাংলাদেশিদের জন্য অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে কিশোয়ার চৌধুরী নামে এক প্রতিযোগীর কারণে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত এই নারী ভোজনবিলাসী বাঙালির সাধারণ কিন্তু মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে এরইমধ্যে জাজদের সেরা পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। গেলো এপ্রিল থেকে শুরু এই রন্ধন প্রতিযোগীতায় ২৪ জন প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে কিশোয়ার উঠে এসেছেন টপ সেভেন কনটেনটেস্টে।

ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়াতেই।

বাবা বাংলাদেশি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান তিনি। মা’র পৈত্রিক নিবাস কলকতায়। পেশায় কিশোয়ার ব্যবসায়ী। তার রয়েছে নিজস্ব প্রিন্টিং বিজনেস। এক ছেলে ও এক মেয়ের মা কিশোয়ার সন্তানদের জন্য বাংলাদেশি খাবার রান্না করতে গিয়েই পরিবারের কাছ থেকে শিখেছেন নানান রেসিপি।

প্রতিযোগিতায় একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন তিনি। কালা ভুনার রেসিপি দিয়ে মাতোয়ারা করেন মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার বিচারকদের। তারপর বিশ্বজয় করে তার রান্না মাছের ঝোল। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কিশোয়ার চৌধুরী বিচারকদের হাততালি কুড়োন চিরচেনা আলুর দমের ফুচকা, চটপটি, সমুচা আর কুলফি বানিয়ে। এভাবেই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের তাক লাগিয়ে চলছেন কিশোয়ার। তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশিদের মতোই গর্বিত তাঁর পরিবারও।