রং নম্বরে প্রেম, অতঃপর মাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে অপহরণ

রং নম্বরে প্রেম, অতঃপর মাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে অপহরণ

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মোবাইল ফোনে রং নম্বরে প্রেম, অতঃপর মাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেল অজ্ঞাত প্রেমিক! কাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জেলার নবীনগর উপজেলার রসূলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আক্তার (১৬) সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর আর বিদ্যালয়ে যায়নি। ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায়।  

বয়স কম হওয়ায় পরিবার থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি তাকে।

প্রয়োজনে বুশরা তার মা জোসনা বেগমের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। মাস খানেক যাবত একটি অপরিচিত নম্বর থেকে মা জোসনা বেগমের নম্বরে প্রায় প্রতিদিন ফোন আসতো। জোসনা বেগম গ্রামের সহজ সরল মানুষ হওয়ায় ফোনটি রিসিভ করতে দিত মেয়ে বুশরা আক্তারকে। এরই সূত্র ধরে অজ্ঞাত ওই নম্বরের ছেলের সাথে বুশরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সপ্তাহ খানেক আগে।
বিষয়টি আচ করতে পারে বুশরার বাবা রফিকুল ইসলাম। কিন্তু মেয়ে বুশরাকে জিজ্ঞাস করলে অস্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার মেয়ে বুশরা আক্তারকে নিয়ে জেলা শহরের কলেজপাড়ায় বোনের বাসায় রওয়ানা দেন জোসনা বেগম। পথে পৈরতলা বাসস্টপ এলাকায় আসার পর মায়ের মোবাইলে বুশরার সাথে কথা হয় অজ্ঞাত ওই যুবকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পেছনের সড়কে রিকশা যোগে পৌঁছা মাত্র আবারো কথা হয় অজ্ঞাত ওই প্রেমিকের সাথে। এসময় অতর্কিতভাবে একটি রুমাল ঢিল হিসেবে ছোঁড়া হয় জোসনা বেগমের দিকে। রুমালে মেশানো চেতনানাশক ওষুধে অচেতন হয়ে যান জোসনা। পথচারীদের সহযোগীতায় দীর্ঘক্ষণ পর চেতনা ফেরে বুশরার মা জোসনা বেগমের। কিন্তু চেতনা ফেরে দেখেন মেয়ে বুশরা আক্তার পাশে নেই।

এ ঘটনায় বুশরার বাবা রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত ওই যুবককে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে একটি এজাহার করেছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা এজাহার দায়ের করেছেন। ছেলেটির নাম-ঠিকানা জানা নেই মেয়ের পরিবারের। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে আমরা তদন্ত করছি।

সম্পর্কিত খবর