বৃহস্পতিবার রাতে সুরা দুখান তিলাওয়াতের যত ফজিলত

বৃহস্পতিবার রাতে সুরা দুখান তিলাওয়াতের যত ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র কোরআনুল কারীম মানবজাতির জন্য পথনির্দেশক। পুরো কোরআনের প্রত্যেকটি হরফে হরফে রয়েছে সওয়াবের বিশাল ভান্ডার।   পবিত্র কোরআনের মধ্যে বিশেষ কিছু এমন জায়গা আছে যেগুলোর ফজিলতও বিশেষ। এগুলোর মধ্যে হলো-  আয়াতুল কুরসী, সুরা ইয়াসিন, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক ইত্যাদি।

এরই মধ্যে অন্যতম একটি হলো, সুরা দুখান।

ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।

হাদিসে সুরা দুখান পাঠ করার বেশকিছু ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা দুখান পাঠ করবে সকাল হওয়ার আগেই তার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

হজরত উমামা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেন- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে অথবা জুমার দিন সুরা দুখান পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে। (কুরতুবী)

বাইহাকি বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে এ সুরা এবং সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে। সে সকালে এমন অবস্থায় জাগ্রত হবে যে, তার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।

ইমাম তিরমিজি ও বাইহাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।

news24bd.tv/আলী