অরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপ ভ্রমণে লাগবে না কোয়ারেন্টাইন

অরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপ ভ্রমণে লাগবে না কোয়ারেন্টাইন

অনলাইন ডেস্ক

করোনার তাণ্ডব যেন কিছুতেই থামছে না। এক করোনায় কপোকাত বিশ্বের বড় বড় সব অর্থনীতির দেশ। এমনকি কোন কোন দেশের আয়ের প্রধান খ্যাতগুলোতেও ধস নেমেছে। তেমনি একটি দেশ থাইল্যান্ড।

দেশটির প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন খাত। করোনার কারণে দেশটির এই খাতে নেমেছে বড় ধরণের ধস।

তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে সব কিছু কাটিয়ে ধীরে ধীরে এবার পর্যটন খাতগুলোকে ঘুড়ে দাঁড় করাতে দেশটি তাদের অনেক পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই অরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ফুকেট দ্বীপ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।

news24bd.tv

পর্যটন খাতকে আবারও আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু নিয়মে। ফুকেট দ্বীপ ভ্রমণে শিথিল করা হয়েছে কিছু আইন। দ্বীপটি ভ্রমণে দর্শনার্থীদের কোনো কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। তবে দেশটির অন্য স্থানে যেতে হলে দ্বীপটিতে ১৪দিন থেকে যেতে হবে।

নতুন এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফুকেট স্যান্ডবক্স’। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা - ফুকেট দ্বীপকে নিয়ে এই কার্যক্রমের আওতায় আগামী তিন মাসে দেশটির অর্থনীতিতে ২৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ হবে।

news24bd.tv

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং করোনা নেগেটিভ তাদের জন্য ফুকেট দ্বীপ ভ্রমণে কোয়ারেন্টিন করতে হবে না। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সেখানে আন্তর্জাতিক একদল পর্যটক পৌঁছেছেন। তারা দ্বীপে মুক্ত অবাধে ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

ফুকেটে ফৌঁছানো পর্যটকদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, কোয়ারেন্টাইনের দরকার না হলেও তারা দ্বীপটি থেকে থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডে ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

news24bd.tv

ফুকেট দ্বীপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

ব্যাংকক থেকে ফুকেট যেতে উড়োজাহাজ কিংবা বাস যে কোনো বাহনই পছন্দ হতে পারে। ভ্রমণপিয়াসীদের জানিয়ে রাখি- ব্যাংকক থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ফুকেটে উড়ে যেতে পারবেন। তবে বাসেই কম খরচ, রাতে বাসযাত্রা তাই এক রাতের হোটেল খরচও বেঁচে যাবে। আর সমুদের বুক চিড়ে ছুটে যাওয়া সেতু ধরে ফুকেটে যাওয়ার আনন্দটিও কম কথা নয়।

উঁচু-নিচু রাস্তা দেখে বোঝাই যায় যে এগুলো পাহাড় কেটে তৈরি। থাইল্যান্ডের এটিই সবচেয়ে বড় দ্বীপ। আয়তনে সিঙ্গাপুরের প্রায় সমান। জনসংখ্যা মাত্র ৬ লাখ। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে দু’পাশের অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে আপনাকে। এই সৌন্দর্য কৃত্রিম। ফুকেটে স্থানীয়দের খুব একটা চোখে পড়ে না। বেশিরভাগই বিদেশি পর্যটক।

আরও পড়ুন


আশ্রয়ণ প্রকল্প: চলছে আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য ও লুটপাট

সিনোফার্ম ও মডার্নার ৩২ লাখ ডোজ টিকা আসছে আজ

কাদের মির্জা ও বাদল অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল হামলায় আহত ১২

সারা দেশে ভারি বর্ষণের আভাস, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কা


সমুদ্রের পানির মূল মুগ্ধতা এর রঙে। নীল নাকি সবুজ- নিশ্চিত হওয়া কঠিন। বিভিন্ন জনের চোখে ধরা দিচ্ছে বিভিন্নভাবে। তবে পানি এতই পরিষ্কার যে নিচের বাল‍ুকণা দেখা যায়। ঢেউগুলো ছোট ছোট। দেখেই মুগ্ধ হবেন আপনি।

news24bd.tv

ফুকেট থাইল্যান্ডের বৃহত্তম দ্বীপ। এটি দক্ষিণ থাইল্যান্ডের আন্দামান সাগরে অবস্থিত। দ্বীপটি বেশিরভাগ উত্তর থেকে দক্ষিণে দ্বীপের পশ্চিমে একটি পর্বতমালা সহ পাহাড়ী অঞ্চল। ফুকেটের পর্বতমালা ফুকেট পর্বতশ্রেণীর দক্ষিণ প্রান্তটি গঠন করে, যা ক্রা ইস্তমাস থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

২০০০ সালে ফুকেটের জনসংখ্যা ছিল ২৪৯,৪৬৬ জন, যা ২০১০ সালের দশকের আদমশুমারিতে বেড়ে হয়েছে ৫২৫,৭০৯, দেশব্যাপী সমস্ত প্রদেশের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হার ছিল বার্ষিক ৭.৪ শতাংশ। ফুকেটে বর্তমানে প্রায় ৬০০,০০০ লোক বাস করে। তবে নিবন্ধিত জনগোষ্ঠীতে কেবলমাত্র থাইদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যারা "তাবিয়ান বান" বা বাড়ির নিবন্ধকরণ বইতে নিবন্ধিত ছিলেন, যা বেশির ভাগটি নেই এবং ২০১২ সালের শেষে জনসংখ্যা ছিল ৩৬০,৯০৫ জন।

news24bd.tv এসএম

সম্পর্কিত খবর