ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা

ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার দেশকে জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল ৯টায় ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে ১৯০তম ঈদ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন শোলাকিয়া ময়দানে ঈদ জামাতে অংশ নিতে কিশোরগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন এলাকা আগত মুসল্লির ঢল নামে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি হিফজুর রহমান খান।

ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। একই সঙ্গে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এদিকে, ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য মোট ২১টি ফটকের মধ্যে ছয়টি প্রবেশপথ উন্মুক্ত রাখা হয়।

গত বছর ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয় ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন।

ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নানাভাবে সাজানো হয়। পুলিশের পাশাপাশি ছিল বিজিবি, র‌্যাব ও এপিবিএন।

গত বছর ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে পুলিশের চৌকিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় পুলিশের দুই সদস্য, এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হয়।

১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এর যাত্রা শুরু হয় ১৭৫০ সালে। এ হিসাবে শোলাকিয়া মাঠের আড়াইশ বছরেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য রয়েছে। মসনদ-ই-আলা ঈশাখাঁর ৬ষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খানের উত্তরসূরী দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সালে ৪.৩৫ একর ভূমি শোলাকিয়া ঈদগাহকে ওয়াকফ করে দেন। দেওয়ান সাহেবের মা মাহমুদা আয়শা খাতুনের অসিয়ত মোতাবেক এ ওয়াকফনামা  সম্পাদিত হয়। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত জমি মিলে বর্তমানে এ ঈদগাহে জায়গার পরিমাণ দাড়িয়েছে ৭ একর।  

সম্পর্কিত খবর