কৃতজ্ঞ থাকুন, তবে জীবনের বিনিময়ে নয়

এমি জান্নাত

কৃতজ্ঞ থাকুন, তবে জীবনের বিনিময়ে নয়

Other

প্রত্যেকটা মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকে। সেখানে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না, করলে সেটা অনধিকার চর্চা হয়ে যায়। এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাবা-মা ও না।  

জীবনের কিছু সিদ্ধান্ত থাকে যেগুলো একান্তই নিজের।

সেগুলোতে মতামত চাইলে দিতে পারে কেউ, কিন্তু সিদ্ধান্ত নয়। যেমন আপনি কোন পেশায় যাবেন বা কাকে জীবনসঙ্গী করবেন এরকম ক্ষেত্রে সারা জীবনের ব্যাপার জড়িয়ে থাকে।  

তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তগুলো শুধু এবং শুধুমাত্র তার। হ্যাঁ, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ছেলে বা মেয়ে মাইনর ততক্ষণ তার বাবা-মা বা অভিভাবকের দায়িত্ব তার সমস্ত ভালোমন্দ দেখা।

 

কারণ, মাইনর অবস্থায় আবেগের বশে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত তারা নিয়ে ফেলতে পারে আর আইনগতভাবেও তারা অভিভাবকের অধীনস্থ। আবার সে যতদিন পর্যন্ত উপার্জন না করছে, ততদিনও তারা ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেই পারেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক এবং উপার্জন ক্ষমতা রাখে এরকম ছেলে বা মেয়ের জীবনের ভালোলাগা, খারাপ লাগা এবং জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা সিদ্ধান্তগুলো তাকেই নিতে দেওয়া উচিৎ।  

সন্তানের ভালো থাকাটাই তো মা-বাবার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই না? অনেক বাবা-মা ই শুধুমাত্র অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সন্তানকে অনেক কিছুতে বাধ্য করেন, আর সন্তানও কৃতজ্ঞতাস্বরুপ সেই দায়ভার নিতে গিয়ে মনের উপর যে প্রভাব সারা জীবন বয়ে নিয়ে বেড়ায় সেই দায়ভার কার!

আরও পড়ুন:


টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৭ জনের মৃত্যু

ইন্সটাগ্রামে প্রত্যেক বিজ্ঞাপনে ১৪ কোটি টাকা নেন রোনালদো

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে আজও ১৭ জনের মৃত্যু

অরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই দ্বীপ ভ্রমণে লাগবে না কোয়ারেন্টাইন


সব সময় অভিভাবক হয়ে না, বন্ধু হয়ে পাশে থেকে, পাশে রেখেই দেখুন। আর ছেলেমেয়েদেরও বলছি, অভিভাবককে সম্মান করুন, কৃতজ্ঞ থাকুন। তবে জীবনের বিনিময়ে নয়।

লেখাটি সাংবাদিক এমি জান্নাত-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম