মাদারীপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চলে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে

মাদারীপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চলে ৫০ শয্যার জনবল দিয়ে

Other

মাদারীপুরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি চলে ৫০ শষ্যার জনবল দিয়ে। ২৫০ শস্যা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় হাসপাতালটি চালু হচ্ছে না। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালুর দাবি স্থানীয়দের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না আধুনিক যন্ত্রাপাতি। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালের বর্তমান কার্যক্রম। এতে চরম বিপাকে পড়ছেন আগত রোগী ও স্বজনরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ২৫০ শষ্যা হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হয়। প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হাসপাতাল ভবনটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হস্তান্তর করা হয়।

মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান জানান, জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শুরু হয়নি ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, একটি ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও এই হাসপাতালে আছেন মাত্র ১৮ জন চিকিৎসক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ১০০ শষ্যার এই হাসপাতাটিতে রয়েছে ৫০ শষ্যার জনবল। সরকার কয়েক বছর আগে এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করে। সে লক্ষ্যে ভবন নির্মাণ কাজও শেষ করা হয় দুই বছর আগে।
কিন্তু জনবল রয়েছে ৫০ শষ্যারও কম।

সংশিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন চিকিৎসক সংকট ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিসহ নানা সমস্যায় ব্যাহত হচ্ছে সদর হাসপাতালের কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, রেডিওলজিস্ট। হাসপাতালে দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় করা যাচ্ছে না আলট্রাসোনোগ্রাম ও উন্নতমানের পরীক্ষা, নষ্ট হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। রোগীদের অভিযোগ চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগীও দেখেন না। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ 

পারভেজ বলেন, ‘মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ১৮৭৬ সালে যাত্রা শুরু করে। দেশের প্রাচীন একটি হাসপাতাল অথচ অনেক সেবাই
এখানে পাওয়া যায় না। আমরা চাই, ২৫০ শয্যা চালু হোক। সরকারি সব চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হোক।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম জানান, শিশু বিশেষজ্ঞসহ একাধিক পদে আরও অনেক লোক দরকার। জনবল সংকট নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কার্যক্রম শুরু হলে সংকট কেটে যাবে।

তিনি আরও জানান, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পদ সৃজনের বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন:


বগুড়ায় করোনায় ১১জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০০


news24bd.tv / তৌহিদ