শিক্ষককে ফোন করে বলা হলো ‘আপনার ডেথ সার্টিফিকেট রেডি এসে নিয়ে যান’

শিক্ষককে ফোন করে বলা হলো ‘আপনার ডেথ সার্টিফিকেট রেডি এসে নিয়ে যান’

অনলাইন ডেস্ক

নিজের মৃত্যুর সার্টিফিকেট নিতে কাউকে দেখেছেন কখনও। অবাক করার মতো কথা হলেও এমনটাই ঘটেছে। জীবিত এক ব্যক্তিকে ফোন করে বলা হল আপনার ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি, এসে নিয়ে যান। ফোনে নিজের মৃত্যুর সার্টিফিকেট নেওয়ার কথা শুনেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর দেশাই নামের এক শিক্ষক।

দেরি না করে ছুটে যান সেখানে। বলেন আমিই চন্দ্রশেখর। আমি জীবিত। তিনি যে মৃত নন, এটা প্রমাণ করতে অনেক বেগ পেতে হয় ওই শিক্ষকের।

ঘটনাটি ভারতের মুম্বাইয়ের ঠাণের পুরনিগম এলাকায়। ওই শিক্ষক পুরনিগম এলাকার বাসিন্দা।

চন্দ্রশেখর পুরনিগম থেকে ফোনে তার নিজের মৃত্যুর সনদের বিষয়টি জেনে সেখানে ছুটে যান নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার জন্য। গত বছরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনও করছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি সপ্তাহের শুরুতে পুরনিগম থেকে ফোনে এসব কথা শুনে তার মাথায় যেন বজ্রপাতের আঘাত পড়ে। চন্দ্রশেখর জীবিত থাকার পরও পুরনিগমের রেকর্ডে তাকে করোনায় মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এখানেই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন


মর্ডানার দ্বিতীয় চালানও ঢাকায় এসে পৌঁছেছে

কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪ জনের মৃত্যু

টাঙ্গাইলে অ্যাম্বুলেন্স-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত

রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু


চন্দ্রশেখর বলেন, এক আধিকারিক বলে আমার মৃত্যুর সনদপত্র তৈরি, আমি যেন নিয়ে যাই- এ কথা বলার পরই তাকে বলি আমি জীবিত। আপনি কেন এমন কথা বলছেন। তখন তারা জানায়, তাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে যে চন্দ্রশেখর দেশাই মারা গেছেন। ভাবুন তো, এ খবর যদি আমার ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা শুনতো বা আমার স্ত্রী-র কাছে এ ফোন যেত তাহলে কী কাণ্ডটাই না হতো!

তবে পরবর্তীতে পুরনিগম থেকে শিক্ষক চন্দ্রশেখরের মৃত্যুর বিষয়টি ভুল বলে মেনে নিয়েছে।

অতিরিক্ত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার সন্দীপ মালয়ি জানিয়েছেন, আমরা কোভিড পরবর্তী অবস্থায় রোগীদের খোঁজ খবর নিতে ফোন করি। পরিবারের কারো মৃত্যু হয়েছে কিনা তা-ও জানতে চাওয়া হয়। শিক্ষক চন্দ্রশেখরের নাম মৃতের তালিকায় ছিল। তাই ভুলবশত ফোন করা হয়েছিল তাকে। আর এই তালিকা আমাদের তৈরি করা নয়। সূত্র : আনন্দবাজার

news24bd.tv এসএম