অতীতেও বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পেয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

অতীতেও বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পেয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

দেশে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিএনপি নির্বাচন ভয় পায় বলেই ‘আবারো একটি পাতানো নির্বাচন হতে পারে' এমন মন্তব্য করেছে। গয়েশ্বর রায়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী এই এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, অতীতেও বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পেয়েছে । ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

২০১৮ সালে অংশগ্রহণ করবেনা বলে শেষে অংশ নিয়েছে। আমরা আশা করবো, সামনের নির্বাচনে তারা পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশ নেবে, অংশ নেবার ভীতিটাও চলে যাবে।

শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষে সংসদ চত্বরে এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবি ছিল, তাদের কল্যাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করা।

সেই ট্রাস্ট গঠন করার লক্ষ্যেই আজকে চলচ্চিত্র কল্যাণ ট্রাস্ট আইন সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং সেটি পাশ হয়েছে। টেলিভিশন অভিনয় শিল্পীরাও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এ আইনের সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

'বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব আমলেই চলচ্চিত্রশিল্পীদের এই দাবি ছিল, কেউ তা পূরণ করেনি' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই দাবি পূরণ করা হবে এবং সার্বিকভাবে শিল্পীদের কল্যাণের জন্যই এ আইন পাশ হলো। এর ফলে শিল্পীদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা সম্ভব হবে।   

টিভি অভিনয় অঙ্গনের কথা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, টেলিভিশনে যারা অভিনয় করে, তাদের পক্ষ থেকেও দাবি দেয়া হয়েছিল, যেন তাদেরও এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই দাবি তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেবার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবরও দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে তারাও যেন এই ট্রাস্টের সুবিধা পায় সেটিও এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা আছে। টেলিফিল্মকেও সিনেমার সংজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো জানান, এই আইনের নাম যদিও চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট, সেভাবেই আইনটি গড়ে উঠছিল, কিন্তু পরে টেলিভিশন শিল্পীরা তাদের জন্যও একটি ট্রাস্ট গঠনের দাবি জানায়। প্রত্যেক সেক্টরের জন্য আলাদা ট্রাস্ট করা যেহেতু কঠিন, তারা এ আইনে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ে দাবি জানায়। সেই প্রক্ষিতে  প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেলিভিশন শিল্পীরাও যাতে এ আইনের সুবিধা পায়, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, টেলিভিশন নাট্যনির্দেশকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এসএমকিউ সাগর, অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম এ আইন পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।  

news24bd.tv/আলী