বাবা হওয়ার সাথে গানের প্রচারের কী সম্পর্ক!

বাবা হওয়ার সাথে গানের প্রচারের কী সম্পর্ক!

Other

গণমাধ্যমে প্রকাশ গণমাধ্যমের বদৌলতে জানলাম কলকাতার সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পিতা হওয়ার সম্ভাব্য খবর প্রকাশ করেছেন। এ অত্যন্ত আনন্দের খবর প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পর তার স্ত্রী লাইভে এসে বলেছেন তিনি যে মা হতে চলেছেন এ তথ্য তিনি নিজেই নাকি জানেন না! নোবেল ও তার স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার আঁচ পাওয়া গেছে। আমার চিন্তা ভিন্ন।

এতদিন জানতাম সন্তান গর্ভে আসার বিষয়টি প্রথম বুঝতে পারেন যিনি গর্ভে ধারণ করেছেন তিনি।

এ প্রথম একজন পুরুষ তা বুঝতে পারায় একটা নতুন ঘটনার জন্ম হয়েছে। নোবেলকে গবেষকদের দারস্ত করলে নতুন আবিস্কারে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে যাওয়ার আশা করছি। অবশ্য নোবেলের স্ত্রী দাবি করেছেন নতুন গান প্রকাশের আগে এটা তার স্টান্টবাজি। গান হিট করতে নাকি তিনি এসব করেন।
তার স্ত্রীর বক্তব্যকে অবিশ্বাস করাও যাচ্ছে না। কারণ নিকট অতীতে তিনি জেমস, ইথুন বাবু কিংবা তার গানের সুরকার আহম্মেদ হুমায়ুন কাউকেই গানের প্রচারের স্বার্থে ছেড়ে কথা বলেননি। তাকে প্রশ্রয়দাতা আসিফ আকবরের গিটার ভেঙে অবশ্য তিনি আসিফকে বুঝিয়ে দিয়েছেন বেয়াদবকে প্রশ্র‍য় দেয়ার পরিণাম কী হয়! আমার অবশ্য বোধগম্য না তার বাবা হওয়ার সাথে গানের প্রচারের কী সম্পর্ক! অবশ্য এ প্রশ্নের জবাব তিনি স্ত্রীর লাইভের প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন।

তার দাবি তার স্ত্রী মনে করেন তিনি পিতা হতে সক্ষম নন! তার সক্ষমতা নিয়ে যেসব ভক্তের শংকা তাদের কথা মাথায় রেখে সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতে একটা গান আসছে। আমি ভাবছি নোবেল পিতা হতে সক্ষম এটা প্রমাণ করতে গীতিকার কী কী লিখেছেন! দুটো লাইন থাকতে পারে বলে আশা করছি "সব চিকিৎসা বারবার/ আমাদের কাছে আসুন একবার!" নোবেল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভুলে গেছি আমাদের আরেক সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক হিরো আলমের কথা। তিনি উগান্ডার গানও গেয়েছেন বলে দেখলাম। এর আগে হিন্দি, আরবি, বাংলাসহ আরও দুই একটি ভাষায় গান গেয়েছিলেন বলে শুনেছি। আমার আগের লেখায় বলেছিলাম হিরো আলম সম্ভবত পৃথিবীর সব ভাষায় গান গাইবেন। আমার ধারণা সত্য। তিনি সে পথেই হাঁটছেন বলে গণমাধ্যমে দাবি করেছেন।

এদিকে ঘুমিয়ে আছেন আমাদের সঙ্গীত গুরুরা। নোবেল কিংবদন্তিদের নিয়ে যা তা বললেও, হিরো আলম যা তা করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারা! অবশ্য মুখে কুলুপ না এঁটে উপায়ই বা কী! বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হওয়ার কথা সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেও একজন মেধাতালিকায় ১২তম হওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহাবুবুল হক ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৮০ তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে! সুতরাং সব জায়গায় সব কথা বলতে নেই এ সূত্র মেনে চলাই সঙ্গত। শেষ করছি বিয়ে করতে গিয়ে চেয়ারম্যান পদ হারানো একজনের গল্প দিয়ে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ কিশোরীর বিচার করতে গিয়ে তিনি নিজেই তাকে বিয়ে করে ফেলেছেন।

বিয়ে করে দুনিয়ায় অনেকে অনেককিছু হারালেও মাত্র দু'দিনের মাথায় চেয়ার হারানোর ঘটনা বিরলতমই বটে! এ কথা শুনে তাসি আমাকে বলল, আপনি কত সুখী। বিয়ে করে আপনার কিছুই হারাতে হয়নি। আমি বললাম, বিয়ে করে নারী হারায় কৌমার্য আর পুরুষ হারায় বাকশক্তি। ও বলে, আপনি বুঝি কথা বলেন না! বললাম, কথাতো বলিই তবে যা তুমি শুনতে চাও। এটাকে সীমিত আকারে লকডাউনের মত সীমিত বাকশক্তি বলে। আর কিছু বলিনি কারণ আর বেশি বললে সীমিত বাকশক্তি কঠোর শাটডাউনের পরিণতি ভোগ করবে! তাই আজকের মত বিদায়!

লেখাটি কাজী শরীফ -এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv/এমিজান্নাত