তীব্র হচ্ছে আইসিইউ সংকট, সীমান্তে বিপর্যয়

Other

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির সাথে বাড়ছে আইসিইউ সংকটও। রোগীর চাপে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে খালি নেই একটি আইসিইউ শয্যাও। ৩৬টি জেলায় আইসিইউ সুবিধা না থাকায় বেশি সংকট সীমান্তবর্তী জেলার হাসপাতালে।  

কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনাভাইরাসের প্রকোপ।

প্রতিনিয়ত নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে গেলো প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

দেশের অন্তত ৫০টি সরকারী হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি করোনা রোগী ভর্তি আছে। এখন করোনা রোগীদের শারীরিক পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

একটি আইসিইউ শয্যার জন্য সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে, জেলা থেকে জেলায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আইসিইউ শয্যা খালি নেই রাজধানীর গুরুত্বপূণ পাচঁ হাসপাতালে। করোনা চিকিৎসা দেয়া বাকী আট হাসপাতালের মধ্যে এক ডিএনসিসি ছাড়া বাকীগুলোতে শয্যা আছে দুই থেকে চারটি। আট বিভাগের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউর শয্যা কমছে উদ্বেগ্নজনক হারে।    

আট বিভাগের মধ্যে ঢাকার পাঁচ, চট্রগ্রামের সাত, খুলনা চার, রাজশাহীর ছয়, রংপুর ছয়, সিলেট দুই, বরিশাল চার আর ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলায় কোন আইসিইউ সুবিধাই নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জেলা পর্যায়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। চিকিৎসা সংকটে আগামী বিশদিনে দেশে মৃত্যুর আরো নতুন নতুন রেকর্ড হবে।

গরুর হাট কেন্দ্রীক জনসমাগম বন্ধ করতে না পারলে ঈদের পর দেশে বড় ধরণের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি।

news24bd.tv/আলী