করিমের সাথে মাথার পিছনে হাত দিয়ে সারি- সারি দাঁড়িয়ে আছে আরও বিশজন। করিম গিয়েছে কিছু ফল কিনতে। তার মা অসুস্থ। মায়ের আম খাওয়ার বায়না পূরণ করতে গিয়ে শাস্তির কবলে পড়ছে করিম।
স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কিংবা ছেলেমেয়েদের সামনে বাবাকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখাকে কোন জাস্টিফিকেশানেই জায়েজ করা যাবে না অথচ নাম দেওয়া হচ্ছে ‘আইনের প্রয়োগ’ যা প্রশ্নবিদ্ধ করছে জনগণের জীবন রক্ষায় আরোপিত সরকারের লকডাউন নীতিকেও। আবার খেটে খাওয়া সাধারণ কিছু মানুষজনও ধরে নিয়েছে আইন মনে হয় এমনই। আসলে তা নয়। আইন মানুষকে সন্মান জানিয়েছে তার মতো করেই।
পেনাল কোডের ৫৩ ধারায় বর্ণিত আইনানুগ শাস্তির বাইরে নিজের ইচ্ছেমতো শাস্তিপ্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও ফৌজদারি অপরাধ।
এভাবে শাস্তি প্রদান আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ব্যত্যয় এবং বাংলাদেশের সংবিধানে বিধৃত নাগরিকের মৌলিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। জনগনের ইচ্ছার অভিপ্রায়ে প্রণীত সংবিধানে বলা হয়েছে আইনানুযায়ী ব্যতীত কোন নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যার ফলে ওই ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
এখানে আরো বলা হয়েছে, বিচার ও দণ্ডদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না।
বাসায় এসে একজন আরেকজনের দিকে সহজে তাকাতে না পারা দণ্ডপ্রাপ্তদের বিব্রত ও অভিমানী মন আমার মতো একজন ক্ষুদ্র বিচারকের মনকে বিস্ফোরণম্মুখ করে তোলে।
আসুন আইন জানি এবং তা জেনে প্রয়োগ করি। (ফেসবুক থেকে নেওয়া)
আরও পড়ুন:
বিধিনিষেধ বাড়ল যে কারণে
ভারতের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ নেই: পাকিস্তান
পুরুষদের দাড়ি রাখতেই হবে, একা বের হতে পারবেন না নারীরা
news24bd.tv / তৌহিদ