পবিত্র কুরআন পড়ে আমার অনুধাবন হয়েছে মানুষ কত নির্বোধ, অজ্ঞ, নিজের ওপর জুলুমকারী ! এক সময় খাদ্য সংকট কল্পনাতেও ছিলো না। মহান আল্লাহর কুদরতের খাবার ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ সব মানুষের জন্য অবারিত ছিলো। বানী-ইস্রাঈলরা বিনা পরিশ্রমে এই খাদ্য লাভ করেছিল। ঘরের বের হলেই তা মিলতো।
কিন্তু বানী-ইস্রাঈলরা এই খাবারের প্রতি তাদের অনীহার কথা জানিয়ে মুসা (আ.) বললো, তিনি যেন প্রতিপালকের নিকটে প্রার্থনা করে ভূমি জাত দ্রব্য শাক-সবজী, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পিঁয়াজ এই জাতীয় খাবার উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন। তাদের জন্য মহান রব এসবের ব্যবস্থা করে দিলেন, তবে তাদের উপর লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য নিপতিত হলো।
এই বিষয়টি সুরা বাকারার ৫৭ ও ৬১ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে -
১. “আমি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করলাম, তোমাদের নিকট ‘মান্না’ ও ‘সাল্ওয়া’ প্রেরণ করলাম। (আর বললাম,) যে সকল ভাল জিনিস তোমাদের জন্য দিলাম তা থেকে আহার কর।
২. “আর তোমরা যখন বলেছিলে, ‘হে মূসা! একই রকম খাদ্যে আমরা কখনো ধৈর্য ধারণ করব না, সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, তিনি যেন ভূমি জাত দ্রব্য শাক-সবজী, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পিঁয়াজ উৎপাদন করেন। মূসা বলল, তোমরা কি উৎকৃষ্ট বস্তুকে নিকৃষ্ট বস্তুর সাথে বিনিময় করতে চাও? তবে কোন নগরে অবতরণ কর। তোমরা যা চাও, তা সেখানে আছে। ’ আর তারা লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্যগ্রস্ত হল এবং আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হল। এ জন্য যে তারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অমান্য করত এবং (প্রেরিত পুরুষ) নবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। অবাধ্যতা ও সীমা লঙ্ঘন করার জন্যেই তাদের এই পরিণতি ঘটেছিল”। (আয়াত : ৬১)
লেখাটি অধ্যাপক জাকির হোসেন -এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
আরও পড়ুনঃ
অবশেষে ছাড়া পাচ্ছে সুয়েজ খাল আটকে দেয়া সেই জাহাজ
news24bd.tv/এমিজান্নাত