শফী হত্যা মামলার রায়ের আগে যে কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বাবুনগরী

শফী হত্যা মামলার রায়ের আগে যে কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বাবুনগরী

অনলাইন ডেস্ক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসছে হেফাজত ইসলাম।   সোমবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার পর মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে সঙ্গে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় যান তিনি। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তারা।

বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার (৫ জুলাই) চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন জুনায়েদ বাবুনগরী।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ কয়েকটি ইস্যুতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হেফাজতে সূত্রে জানা গেছে, এতে কারাবন্দি নেতাদের ঈদুল আজহার আগে মুক্তি চাওয়া হবে।  

সূত্র জানিয়েছে, আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম আসায় শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন বাবুনগরী। ১৫ জুলাই আল্লামা শফী হত্যা মামলার বিষয়ে পরবর্তী রায় দেবে আদালত।

আজকের বৈঠকে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।  

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে উচ্চতর ডায়াবেটিস, প্রেশারসহ বিভিন্ন রোগের কারণে প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর মধ্যে গত মে মাসে তার ব্যক্তিগত খাদেম (সেবক) মাওলানা ইনআমুল হাসান ফারুকীকে গ্রেফতার করা হলে আরও ভেঙে পড়েন তিনি।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও খাদেম ইনআমের মুক্তি- এ দু’টি বিষয়ে বাবুনগরীর পক্ষ থেকে গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়া দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দিতে এবং সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দিতে জোর দাবি জানাবেন বাবুনগরী।  


এর আগে গত ৪ মে নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন তারা সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায় দেশজুড়ে গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজত নেতাদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

সংগঠনটির অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী সম্প্রতি শুধু ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

পুলিশের দাবি, হেফাজত নেতারা নাশকতার বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলেন, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল।

news24bd.tv/আলী