নাম রাজা-বাদশা। নাম শুনলে সবাই আগেকার যুগের রাজা বাদশার কথাই ভাববেন। কিন্তু না কোরবানি উপলক্ষে আদর করে লালন পালন করা বিশালাকার দুটি ষাঁড়ের নাম রাজা ও বাদশা। ওজন আকৃতি ও সৌন্দার্যে তারা নজর কেড়েছে সকলের।
প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন তাদের দেখতে।এবার ঝিনাইদহের কোরবানির পশুহাট মাতাবে তারা। তবে করোনাকালে ন্যায্য মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ষাঁড়দুটির মালিক মোয়াজ্জেম মোল্লা। ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের গাছ কুলচারা গ্রামের কৃষক মোয়াজ্জেম মোল্লা।
গরুর মালিক মোয়াজ্জেম মোল্লা বলেন, আমার কোন গরুর খামার নেই। আছে একটি গোয়াল ঘর। সেখানে মোট ৭ টি গরু আছে। ৫ বছর আগে প্রথমে ৭১ হাজার টাকা দিয়ে একটি ফিরিজিয়ান জাতের গাভী গরু ক্রয় করি। তারপর থেকে আমার রাজা, বাদশা এবং উজির হয়েছে। এছাড়াও বকনা বাছুর রয়েছে। রাজা, বাদশা বড় হওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদে তাদেরকে ছেড়ে দেব। আর উজিরকে আগামী বছর বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়ায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু, রেকর্ড আক্রান্ত
স্বাস্থ্যবিধি মানুন, সার্বক্ষণিক পাশে আছি: শেখ তন্ময়
সাতক্ষীরা মেডিকেলে আজও ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬২
কিশোরের খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিলো বেশি
তিনি আরও বলেন, আমার গরুগুলোর সাধারণ খাবার যেমন চাল, ভুষি, ছোলা, ফেসাড়ি এ ধরনের খাবার খাইয়েছি। তাছাড়া অত্যান্ত আদর যত্ন করে গরু পালন করেছি। আমার রাজার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৫০ মণ এবং বাদশার ৩৫ থেকে ৪০ মণ হবে। আমি এবারের কোরবানিতে ন্যায্য মূল্যে তাদেরকে ছেড়ে দিতে চাই। আমার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং-০১৯৯৪-২১৮০২৯ এবং ০১৭৯৫-৯৭১২৯০।
প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ৭৯ হাজার ১৭৫ টি গরু ও ৫২ হাজার ৩২৮ টি ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় গত বছর কোরবানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪০২ টি।
news24bd.tv এসএম