স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত আমিরের যে কথা হলো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হেফাজত আমিরের যে কথা হলো

অনলাইন ডেস্ক

গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এ সময় হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী ও সংগঠনের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর একান্ত সহকারী শফিউল আলমও ছিলেন।  

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রীর বাসভবন ত্যাগ করেন হেফাজত নেতারা। বেরিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও হেফাজত নেতারা কোনো কথা বলেননি।

তবে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও একাধিক সূত্র বলছে, হেফাজত আমির বৈঠকে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ শেষে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন।

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কওমি মাদ্রাসাগুলাকে নিবন্ধনের আওতায় আনাসহ মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে সমন্বিত নীতিমালা তৈরির উদ্যোগের বিষয়েও কথা বলেছেন জুনায়েদ বাবুনগরী।

আরও পড়ুন


নোয়াখালীতে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৪

দুর্যোগে নেতাকর্মী ও সামর্থ্যবানদের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহবান ওবায়দুল কাদেরের

ঘরে বসে ‘নগদ’-এ দিন ভিসা-ক্রেডিট কার্ডের বিল, আছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক

‘৫ হাজার ইসরাইলিকে নাগরিকত্ব দিয়ে ‌‘বিশ্বাসঘাতকতা' করেছে আমিরাত’


গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংস ঘটনার পর হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয় সরকার। সংগঠনের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে গত ৪ মে নুরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। হেফাজতের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ও কোনো ধরনের সহিংসতা না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তারা। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একপর্যায়ে হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে গ্রেপ্তার নেতাদের বাদ দিয়ে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

news24bd.tv নাজিম