জাতীয় প্রেসক্লাবে ফুটেছে নাগলিঙ্গম

জাতীয় প্রেসক্লাবে ফুটেছে নাগলিঙ্গম

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় প্রেসক্লাবে ফুটেছে নাগলিঙ্গম। অনেকটা বিস্ময়ের ফুলই বলা চলে- নাগলিঙ্গম। দেশে এই বৃক্ষের সংখ্যা খুবই কম। ফুলের রং,আভিজাত্য, মঞ্জুরি, গঠনশৈলী- সবকিছু মিলিয়ে একে অনন্য করে তুলেছে।

নাগলিঙ্গম ফুলের রানি। পাপড়ির মধ্যে নাগ বা সাপের মতো ফণা। সম্ভবত এ কারণেই এর নামকরণ হয়েছে ‘নাগলিঙ্গম’।

অন্য সব গাছ থেকে নাগলিঙ্গমের ভিন্নতা হচ্ছে গাছের গোড়া থেকে উপরের দিকে কাণ্ডে ফুল ফোটে।

যদিও অন্য সব গাছের ফুল ফোটে ডালে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পতঙ্গ নাগলিঙ্গমের ফুল ও রেণু খায়। ফুল দেখতে অনেকটা সাপের ফনার মতো।

এই গাছের ইংরেজি নাম 'cannonball tree' এবং বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis, যা Lecythidaceae পরিবারভুক্ত। এর আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চল। নাগলিঙ্গম ৩৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গুচ্ছ পাতাগুলো খুব লম্বা, সাধারণভাবে ৮-৩১ সেন্টিমিটার, কিন্তু ৫৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বায় পৌঁছতে পারে।

news24bd.tv

আরও পড়ুন


নোয়াখালীতে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৪

দুর্যোগে নেতাকর্মী ও সামর্থ্যবানদের অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর আহবান ওবায়দুল কাদেরের

ঘরে বসে ‘নগদ’-এ দিন ভিসা-ক্রেডিট কার্ডের বিল, আছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক

‘৫ হাজার ইসরাইলিকে নাগরিকত্ব দিয়ে ‌‘বিশ্বাসঘাতকতা' করেছে আমিরাত’


ফলগুলো কামানের গোলার মতো দেখতে বলেই ব্রিটিশরা এর নাম দিয়েছে ‘ক্যাননবল’। দ্বিজেন শর্মা তাঁর শ্যামলী নিসর্গ বইয়ে লিখেছেন, ‘আপনি বর্ণে, গন্ধে, বিন্যাসে অবশ্যই মুগ্ধ হবেন। এমন আশ্চর্য ভোরের একটি মনোহর অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই অনেক দিন আপনার মনে থাকবে। ’ তবে ফলের মতোই নাগলিঙ্গম গাছটির উচ্চতা ৩০ থেকে ৩৫ ফুট।  

নাগলিঙ্গমের ভেষজ গুণও অনন্য। ফুল, পাতা ও বাকলের নির্যাস থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এর নির্যাস। এই গাছ থেকে তৈরি ওষুধ পেটের পীড়া দূর করে। পাতার রস ত্বকের নানা সমস্যায় কাজ দেয়। ম্যালেরিয়া রোগ নিরাময়ে নাগলিঙ্গমের পাতার রস ব্যবহৃত হয়। হিন্দুধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা শিবপূজায় নাগলিঙ্গম ফুল ব্যবহার করেন। ভারতে নাগলিঙ্গমকে ‘শিব কামান’ নামে ডাকা হয়।

news24bd.tv নাজিম

সম্পর্কিত খবর