৩৮ লাখ মামলা জটে আদালতগুলো, বিচারের অপেক্ষায় সংশ্লিষ্টরা

Other

দেশে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে মামলা জট। করোনার লম্বা ছুটি আর জট কমাতে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়াতেই এ পরিস্থিতি। আইনজীবীরা বলছেন, এই ভাবে চলতে থাকলে বিতর্কিত হবে দেশের বিচার ব্যবস্থা। শিগগিরই সকল আদালত খুলে দেয়ার পরামর্শ তাদের।

 

কয়েক যুগ ধরে মামলা জট খবরের শিরনাম হলেও তা সমাধানতো হচ্ছেইনা বরং প্রতিবছরই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে মহামারি করোনায় দেড় বছরেরও অধিক সময় লকডাউনের কারনে স্থবির বিচারিক কার্যক্রম। সিমিত পরিসরে ভার্চূয়ালি আদালত পরিচালনা করলেও তাতে মামলা জট কমছেনা।

গত জুলাই পর্যন্ত দেশের আদালতগুলোয় প্রায় ৩৮ লাখ মামলা বিচারাধীন ছিল।

অথচ গত ডিসেম্বরেই এ সংখ্যা ছিল ৩৭ লাখের কাছাকাছি। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে ২৩ হাজার ৬১৭টি মামলা এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮টি মামলা। দেশের বিচারিক আদালতসহ মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮টি। এছাড়া গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত হাইকোর্টে বিচারাধীন ডেথ রেফারেন্স মামলার সংখ্যা ৭৭৫টি। এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরই মাঝে চলে গেছে আরো প্রায় এক বছর। এই সব বিচারিক আদালতে লাখ লাখ মামলা ফাইল করা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে এর তুলনায় খুবই কম। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল আদালতেও একই অবস্থা। এতে করে মামলা জট বেড়েই চলেছে। ভোগান্তি বেড়েছে বিচারপ্রার্থীদের।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলছেন মামলা জট নিরসনে শিগগিরই দেশের সকল আদালত খুলে দেয়া প্রয়োজন।

মামলা জট কমাতে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি বাতিল, ভার্চুয়াল ও অ্যাকচুয়াল উভয় কোর্ট চালু ও বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে বিচারকদের কর্মঘণ্টা পূর্ণভাবে ব্যবহার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেও লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধিসহ নানা কারনে কমেনি মামলা জট।

news24bd.tv/আলী