বিআরটি কর্তৃপক্ষকে রাস্তা ও ফুটপাথ সচল রেখে কাজ করতে হবে : মেয়র আতিকুল

বিআরটি কর্তৃপক্ষকে রাস্তা ও ফুটপাথ সচল রেখে কাজ করতে হবে : মেয়র আতিকুল

অনলাইন ডেস্ক

বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি কিংবা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষেকে ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কমপ্লায়েন্স মেনে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন(ডিএনসিসি) মেয়র  আতিকুল ইসলাম।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষকে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ সচল রেখে কাজ করতে হবে। জনগণের যাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় সেজন্য নিয়মিত রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাথ পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭ জুলাই বুধবার সকালে এয়ারপোর্ট রোড এবং দক্ষিণখান এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।

তিনি বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষ কমপ্লায়েন্স মেনে কাজ না করায় এয়ারপোর্ট রোডসহ আশেপাশের এলাকায় পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন ধরণের জনভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।   বিআরটি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই জনকল্যাণে এয়ারপোর্টের সন্নিকটস্থ মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতাবিহীন একটি ইউটার্নের সুব্যবস্থা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডিএনসিসির সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুমতি নিয়ে ডিএনসিসির সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ৭ নম্বর অঞ্চলের ৫০ নং ওয়ার্ডের আজমপুর রেলগেট হতে কসাইবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে কাঠের গুড়ি রেখে রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে জনদূর্ভোগ সৃষ্টিকারী মালামাল জব্দ করে সেগুলো স্পট নিলামের ব্যবস্থা করা হয়।

এসময় ৫টি জায়গায় জব্দকৃত মালামালগুলো আলাদাভাবে ৫টি স্পট নিলামে সর্বমোট ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়।

দক্ষিণখান এলাকা পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়র এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সশরীরে কোরবানীর পশুর হাট এড়ানোর লক্ষ্যেই “ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট-২০২১” এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ডিএনসিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্লটারিং হাউজে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এবার ১ হাজার কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২৫টি ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে কোরবানি করা গবাদি পশুর গোশত যথাযথভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং “মানব সেবা” নামক একটি এনজিওকে চামড়া দিয়ে দেয়া হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আলী