চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে ঈদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে দু'দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় বোমা হামলা ও গোলাগুলির অভিযোগ করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। আহতদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন (৪০) নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ ঈদের দিন সকালে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, হাপানিয়া গ্রামের হাসান মিয়া (৩২), মিলন আলী (২২), মহিবুল ইসলাম (৩৮), সেলিম রেজা (৩২), আজিজুল হক (৫০), জয়নাল আবেদিন (৪০), মতিয়ার রহমান (৫০), আব্দুল গফুর (৩০), উসমান গণি (৪৫), আব্দুল কুদ্দুস (৪৫), মকলেছ মিয়া (২২), ঠান্ডু মিয়া (৩৮) ও মো. বুকল (৩৬)।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন জানান, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নামাজ শুরু না করায় প্রতিবাদ করে হাপানিয়া গ্রামের ঈদগাহে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের একাংশ। এ নিয়ে গ্রামের মুসল্লিরা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সংঘর্ষস্থলে বোমা হামলা ও গোলাগুলির অভিযোগ বিষয়ে এসপি বলেন, অভিযোগটি আমিও শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারিক হাসান শাহিন জানান, আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। জয়নাল আবেদিনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থনান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।