দানব আকৃতির সেই এভারগ্রিন জাহাজটি অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। সুয়েজ খালে বেশ কয়েকদিন আটকে থাকায় বন্ধ হয়ে যায় ওই পথ। ওই ক’দিনে অনেক ক্ষতি হয়েছিল খাল কর্তৃপক্ষের। যে জন্য জাহাজটির মালিক পক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজটি ছাড়া হবে না বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।অনেক দিন পর ক্ষতিপূরণ চুক্তির পর এভারগ্রিন নামের সেই জাহাজটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সেটি মিসর ছেড়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে এমটিই জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোঙর তুলে টাগের সাহায্যে এভারগ্রিন ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা করে। জাহাজটি ঈসমাইলিয়া শহরের নিকটবর্তী খালে তিন মাস ধরে অবস্থান করছিল।
তবে ঠিক কত ক্ষতিপূরণের চুক্তি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়। ক্ষতিপূরণের সঠিক অংক প্রকাশ করা না হলেও এর আগে মিসর ৫৫ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬৭৫ কোটি টাকার বেশি চেয়েছিল।
গত মার্চে সুয়েজ খালে আটক যায় জাহাজটি। এতে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয় বিশ্ব বাণিজ্য। এ নিয়েই কায়রোর সঙ্গে চুক্তিতে আসে জাহাজটির মালিক পক্ষ ও বিমা কোম্পানি।
মিসরীয় টিভিতে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাপ্টেন ও অন্য ক্রুদের ফুল ও স্মারক দিয়ে বিদায় জানানো হয়।
১২০ মাইল দৈর্ঘ্যের সুয়েজ খাল সংযোগ করেছে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে, যা এশিয়া ও ইউরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ।
আরও পড়ুন
গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনার ৪ হাসপাতালে আরও ২২ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে আরও ১৭ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেলে আজও ১৮ জনের মৃত্যু
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাবে
মার্চে ঝড়ো বাতাসের সময় ৪০০ মিটার লম্বা এভারগ্রিন সুয়েজ খালে আড়াআড়িভাবে আটকে পুরো বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দেয়। প্রায় এক সপ্তাহ খাল বন্ধ থাকায় শত শত জাহাজ ট্রাফিক জ্যামে পড়ে। প্রতিদিন ক্ষতি হয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যের। এ সময় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি নিহত হন।
ওই সময় থেকেই ক্ষতিপূরণ দাবি করে আসছিল সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ এসসিএ। ক্ষতিপূরণের মধ্যে রয়েছে উদ্ধার অভিযানের খরচ, খালের তীর ও অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতি।
প্রাথমিকভাবে ৯১.৬ কোটি ডলার দাবি করলেও মালিকপক্ষ ও বিমা প্রতিষ্ঠান সেটিকে ‘অতিরিক্ত’ বলে উল্লেখ করে। পরে ৫৫ কোটি ডলার দাবিতে নামে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ।
news24bd.tv এসএম