সেই মোড়লের ছেলে-মেয়েরা এখন কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যারিস্টার

সেই মোড়লের ছেলে-মেয়েরা এখন কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যারিস্টার

Other

বাংলাদেশের একটি দ্বীপাঞ্চলে গিয়ে আমি বর্তমান বাংলাদশের একটি পূর্ব চিত্র পেয়েছিলাম। সেই দ্বীপটিতে মোড়ল এর ঘরে তিন ছেলে তিন দলের কর্মী। অার সেই মোড়লের পদলেহী ভক্তদের প্রত্যেকেই মামলা হামলায়  আটকে পড়ে আছে। তারা সব ব্যাপারে পরামর্শের জন্য মোড়লের দিকে চেয়ে থাকে।

মোড়ল কিন্তু যা বোঝার বুঝে। এই ভক্তকুলের কয়েকজন  ছেলে মেয়ে পড়ালেখা শিখে মোড়লের কাছে আসলেও তাকে আর খোদার মতো করে ভক্তি দেয় না। এই ভক্তকুলের খোদায়ী ভক্তি ধরে রাখার জন্য মোড়ল এর উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে। আর এই জন্য চাই আজীবন স্নায়ূ যুদ্ধ।

আর এই স্নায়ূ যুদ্ধ আনতে হলে তাদেরকে গোষ্ঠী সংঘাতের দিকে ধাবিত করতে হবে।

একদিন মোড়ল এর কাছে ভক্তকূল এসে একটি আটকে পড়া জাহাজের খবর নিয়ে আসে আর তাতে রাখা মালামাল সন্বন্ধে বলে। মোড়ল ভিন্ন লোক মারফৎ তাদের কাছে বার্তা পৌঁছায় জাহাহ পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে,  মালগুলিও। এলাকার আইনজীবী বললেন, ওগুলি ধরা যাবে না। মোড়ল বললেন, এখানে আমার চেয়েও পাওয়ারফুল কেউ নেই। পরে আমি দেখব। মোড়লের কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে ভক্তকূলের ৭৫% লোক রাতের অন্ধকারে জাহাজের মাল চুরি করে নিয়ে আসল।

এদিকে নৌ বাহিনী অভিযান চালিয়ে অজ্ঞাত ও গ্রেপ্তার পাঁচশত জনকে অাসামি করে ডাকাতী মামলা দিল। আর মোড়ল তার জানাশোনা অনেক ডাকাতকে  চিহ্নিত করে রেখে হাতের মুঠোয় রেখে দিল।

বাকী ভক্তদের হাতের মুঠোয় আনার জন্য মোড়ল ভক্তদের চর দখলের ঘটনায় জড়িত করল। সেখানে আহত নিহত হওয়ার পরে আরো দশ ভাগ লোক আসামি হলো। এই সব আসামিদের মামলার বিচারের খরচ, আইনজীবীর ফিস মোড়লের দায়িত্ব।

দ্বীপবাসীরা যে যতটুকু পারে মোড়লকে টাকা দিয়ে যায়। আর মোড়ল দ্বীপবাসীকে আশ্বস্ত করে যে সে আছে তাই আদালতের খরচ নিয়ে কোন চিন্তা নাই। আইনজীবীর জন্য যা দিচ্ছে তা কম হলেও বিজ্ঞ আইনজীবী মোড়লের কথা রাখবেন। এদিকে ভূখা নাংগা মানুষের মামলা হিসাবে আইনজীবীও আর ফিস নিয়ে কোন ঝামেলা করেন না।

কয়েকদিন আগে খবর নিয়ে জানলাম, সেই মোড়ল এর ছেলে মেয়েরা কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যারিস্টার হয়ে আইনজীবী। নাতী নাতনীরা বাংলায় কথা বলতে পারেন না। তাদের  বাংলাদেশ ও আমেরিকায় বাড়ি। মোড়ল বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থানে রয়েছেন।

আর সেই ভক্তকূল?

তারা এখনো আছে একজন আরেকজনের পেট গুতানীতে।

আরও পড়ুন:


দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর দিনে করোনা শনাক্তের হার ৩১.৬২

ঢাকায় ৬৫ খুলনায় ৫৫ ও চট্টগ্রামে ৩৭ জনের মৃত্যু

রেকর্ড শনাক্তের দিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজারেরও বেশি

হযরত খানজাহানের দিঘীর আহত কুমিরের চিকিৎসা চলছে

১৯৯ জন মৃত্যুর দিনে শনাক্ত ১১ হাজারেরও বেশি

রংপুরে ট্রাক-অটোরিক্সা সংঘর্ষে নিহত ২


news24bd.tv / তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর