অনুসন্ধান শুরু দুদকের

গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নিয়ে কি করেছে ইভ্যালী?

Other

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা নিয়ে কি করেছে তা খুঁজে বের করতে দুই সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে দুদক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ইভ্যালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, ভোক্তা অধিকার ‍ও প্রতিযোগিতা কমিশনে চিঠি দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রাহকের অর্থ উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকে।

 

পণ্য কিনলেই বিশাল মূল্যছাড়। কখনো কখনো পণ্যের দামের চেয়েও বেশি মূল্যছাড় দিতে দেখা যায় আলোচিত-সমালোচিত ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালীকে। বড় অংকের মূল্যছাড় পেয়ে বুঝে কিংবা না বুঝে গ্রাহকরা কেনাকাটা করে ইভ্যালী থেকে। তবে পণ্য পেতে ভোগান্তি নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে ইভ্যালীর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসে ইভ্যালীর কর্মকান্ড। তাতে দায় দেনার হিসেব মেলাতে গিয়ে বড় গড়মিল পায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালীর সম্পদ রয়েছে ৬৫ কোটি টাকার। যার বিপরীতে দেনার পরিমান ৪০৭ কোটি টাকা। সবমিলে গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম নেয়া ৩৩৮ কোটি টাকার কোন হদিস পায়নি কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

এমন প্রতিবেদনে নড়ে চড়ে বসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অল্প সময়ে তৈরি করে ই-কমার্স নীতিমালা। আর ইভ্যালীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা কমিশনে। এরই প্রেক্ষিতে দুই সদস্যের তদন্ত টিম তৈরি করেছে দুদক।

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব-সভাপতি ও দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলছেন, তদন্তে গ্রাহকের স্বার্থ দেখতে হবে সবার আগে।

নতুন ইকমার্স নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকের টাকা বুঝে পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে পৌছে দিতে হবে কাঙ্খিত পণ্য।

news24bd.tv/আলী