আগুন লাগার পরও কাজ অব্যাহত রাখতে ফটক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

এদিকে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লাগার পরও শ্রমিকদের কাজ অব্যাহত রাখতে ভবনের নিচে নামার সব ফটক বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে, ভবনের চারতলায় কাজ করা শ্রমিকরা বের হতে আহাজারি করলেও তাদের নামতে দেয়নি ফ্লোর ব্যবস্থাপকরা।

এর আগে চার দফা লাগা আগুনে বড় ধরণের ক্ষতি না হওয়ায় এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান স্বজনহারা মানুষ। ভুক্তভোগী স্বজনদের কথা শুনেছেন আরেফিন শাকিল।

মেয়ের খোঁজে মায়ের এমন আর্তনাদ, আকুতি, মিনতির জবাব নেই কারোর কাছে। দীর্ঘ সময় ধরে জ্বলতে থাকা কারখানার ভিতর আটকা পড়া বাবা হারা মেয়ে মাহমুদা কেমন আছে তখনো জানে না কেউ! হুট করে উপার্জনক্ষম মেয়ের এমন পরিণতি কোন স্বান্তনায় শান্ত করে না মায়ের মন।

আগুন লাগার পর কারখানার ভিতর আটকা পড়ে এমন অনেকের মেয়ে, কারোর বোন বা ভাই, আবার কারো কারো নিকট আত্মীয়। কিন্তু সে সময় ফ্লোর ব্যবস্থাপকরা শ্রমিকদের বের না হতে দিয়ে উল্টো তালা লাগিয়ে দেয় দরজায় দরজায়।

রাত ৯টা অব্দি টেলিফোনে স্বজনদের এমন তথ্য দিয়ে বাঁচানোর আকুতি জানান আটকাপড়া কয়েকজন।

দমকল বাহিনীর সদস্যদের সাড়ে বারো ঘন্টার নিরন্তর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বেঁচে ফেরেননি অনেকে।

স্থনীয়রা জানান, এর আগে চারবার আগুন লাগে হাশেম গ্রুপের সেজান জুসের ভবনে। কিন্তু সে সময়ে বড় ধরনের ক্ষতি না হওয়ায় এবার গুরুত্ব দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। জোরদার করা হয়নি অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

অগ্নিকাণ্ডের পরপরই গা ঢাকা দেয় কারখানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। কথা বলতে রাজি হননি ঘটনাস্থলে থাকা এক ব্যবস্থাপক।

আরও পড়ুনঃ


করোনায় ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

বগুড়ার শেরপুরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত

‘নগদ’-এর পিন রিসেট করা যাবে নিজে নিজেই

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত


news24bd.tv / কামরুল