সিউলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

সিউলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক

সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র গাংনামের থিও গ্যালারিতে কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং কোরিয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন। স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গণতন্ত্র, শান্তি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতা, জনগণের ক্ষমতা এবং আর্থ-সামাজিক মুক্তির অগ্রদূত যা প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।  

আবিদা ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, এই প্রদর্শনী দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুপ্রতিম জনগণকে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর রূপকল্প, আদর্শ ও পরম্পরা সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।  

কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জে-মিন জং তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দেশ ও জনগণের গণতন্ত্র, শান্তি ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।

তাঁর অসামান্য অবদান ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। নিজ দেশের উপর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই তিনি জাতির পিতা হিসেবে অভিহিত হয়েছেন। এই তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগে কোরিয়া কালচার অ্যাসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার দেওয়া হয়।  

প্রদর্শনীতে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীটি আগামী ১৩ই জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

news24bd.tv/আলী