ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোতে ইন্সপেকশন হয়। ইন্সপেক্টররা অনেক ত্রুটি খুঁজে পায়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয় না। টাকা পকেটে নিয়ে বাসায় চলে যায়।
সে টাকায় বাড়ি কিনে। গাড়ি কিনে। ছেলে-মেয়েদের ভালো স্কুলে পড়ায়।শত কোটি টাকার ইন্ড্রাস্ট্রিতে একশোটা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার থাকে না।
প্রতিষ্ঠানের মালিকও এগুলো জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। শত কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে নারাজ। সীমাহীন লোভ যখন গ্রাস করে—তখনই এমনটি সম্ভব।
রানা প্লাজার ঘটনায় হাজার মানুষ মারা গেলো। তাজরীন গার্মেন্টস পুড়ে শতাধিক মানুষ পুড়লো। এগুলো সবই লোভের পরিণাম। কিন্তু লোভীরা মরে নি। মরেছে হত দরিদ্র কর্মীরা।
দুর্ঘটনা আর অবহেলার জন্য মৃত্যু এক নয়। এগুলো দুর্ঘটনা না। এগুলো হলো লোভীর থাবায় মৃত্যু। হত্যা।
পঞ্চাশ জন মানুষ পুড়ে গেলো। যেসব ইন্সপেক্টররা টাকা খেয়ে চুপ ছিলো—তারা এই হত্যার জন্য দায়ী। মালিক যদি জেনেও ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে—তিনি এই হত্যার জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন:
ভয়ংকর রূপ নেয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দিশেহারা বিশ্ব
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ, ফের রণক্ষেত্র ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর
ইউরো ফাইনালে রেফারি হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছেন যিনি!
শুভশ্রীকে কটাক্ষ, কী জবাব দিলেন ‘রাজ ঘরনি’!
সেইফটির জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, শুধু দুর্ঘটনা বলে বলে বছর বছর এভাবে মানুষ পুড়িয়ে মারছি আমরা।
তারপরও এগুলো নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভালো। তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। আপাতত ভাবুন, দুনিয়ার সব দেশেই এভাবে আগুনে পুড়ে মানুষ মরে। সুতরাং এগুলো নিয়ে আলোচনা করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দরকার নেই।
news24bd.tv রিমু