কোরবানির হাট মাতাবেন সাতক্ষীরার ‘নবাব’

কোরবানির হাট মাতাবেন সাতক্ষীরার ‘নবাব’

Other

নাম তার নবাব। ওজন ১ হাজার কেজির বেশি। তাই দাম হাকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ওজন ও আকৃতি বিশাল আকার হওয়ায় সাতক্ষীরার কোরবানির এই পশুটি গোয়াল ঘরের দেওয়াল ভেঙ্গে তাকে বাইরে বের করতে হয়েছে।

ওজন, আকৃতি আর সৌন্দর্য্যে নজর কাড়া তাই প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা কোরবানির এই ষাঁড়টি দেখতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালীর কলবাজার এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ হোসেনের বাড়ীতে ভিড় জমাচ্ছেন সবাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এবার কোরবানির ঈদে সবার দৃষ্টি কেড়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালীর গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ হোসেনের বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি। চাল চলন আর ঘুমানোর ভাবভঙ্গি অনেকটা নবাবের মত। তাই তার মালিক নাম দিয়েছেন নবাব।

সুঠাম ও স্বাস্থ্য বিশাল আকৃতির অধিকারি হওয়ায় বিক্রির জন্য বাড়ীর গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙ্গে বেরকরতে হয়েছে। তার ওজন ২৫ মন। ওজন আর আকৃতি বিশাল হওয়ায় ছোট দরজা দিয়ে বাইরে আনা সম্ভব হয়নি নাববকে। কোরবানি উপলক্ষ্যে দাম হাকানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

ষাঁড়টির মালিক খামারি গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ হোসেন জানান, বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাভাবিক খাবার সবুজ ঘাস, ভুসি, খৈল, ভুট্টাসহ বিভিন্ন দেশি খাদ্য খাবার দিয়ে নবাবকে নিজের সন্তানের মত যত্ন নিয়ে বড় করে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর যাবত অনেক যন্ত দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন। গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নবাবকে বড় করে তুলতে তার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।

আরও পড়ুন


কানাডায় করোনার গতি কমায় ভ্রমণে বিধিতে পরিবর্তন

বরিশাল শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্তের হার ৬৫.৮২

খুলনার চার হাসপাতালে মৃত্যু কিছুটা কমেছে

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন পিটার হাস


লকডাউনের মধ্যে গরুটির বিক্রি ও নায্যমূল্য নিয়েও শঙ্কায় আছে নবাবের মালিক ফিরোজ হোসেন ও তার পরিবারটির। দূর দূরান্ত থেকে দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কোরবানির এই পশুটি দেখতে ভিড় করছে ফিরোজ হোসেনের বাড়ীতে।  

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পাদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ‘নবাব’ এখন সাতক্ষীরা জেলা নয়, দেশের মধ্যে কোরবানীর বড় গরুর তালিকার মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে জেলায় ৩০ হাজার ৪৮৬টি গরু ও ২৫ হাজার ৯১৫টি ভেড়া ও ছাগল প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা তাজা করেছেন খামারিরা। কিন্তু করোনার প্রভাব আর লকডাউনে পশু হাট বন্ধ থাকায় অন লাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি চালু করা হয়েছে। মহামারি করোনা আর লকডাউনের কারনে পশুর উপযুক্ত দাম পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরায় ১১ হাজার ৪৫০টি খামারে ৫৬ হাজার ৪০১ টি পশু ইষ্ট-পুষ্ট করেছে খামারিরা। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ২৩২ কোটি টাকা।

news24bd.tv এসএম