জিলহজ মাসরে প্রথম ১০ দিন সর্বোত্তম দিন, আর রমজান মাসের শেষ দশ রাত, সব চেয়ে উত্তম রাত। এ মাসের মর্যাদা ও ফজিলতের অন্যতম কারণ আশারায়ে জিলহজ বা প্রথম ১০দিন। এ দশকে অনুষ্ঠিত হয় হজ এবং কুরবানি। পবিত্র জিলহজ মাসের গুরুত্ব ও করণীয় নিচে তুলে ধরা হলো:
হজের মাস জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমলের গুরুত্ব অনেক।
রইসুল মুফাসসিরিন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং মুজাহিদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহিসহ অনেক সাহাবা, তাবেঈ ও মুফাসসিরগণ বলেন, এখানে ‘দশ রাত’ দ্বারা জিলহজ মাসের প্রথম ১০ রাতকেই বুঝানো হয়েছে। ' (ইবনে কাছির)
অন্য এক আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন-
لِّيَشۡهَدُواْ مَنَٰفِعَ لَهُمۡ وَيَذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ فِيٓ أَيَّامٖمَّعۡلُومَٰتٍ عَلَىٰ مَا رَزَقَهُم مِّنۢ بَهِيمَةِ ٱلۡأَنۡعَٰمِ
‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।
আরও পড়ুন:
ইউরো ফাইনালে রেফারি হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছেন যিনি!
বিনয়ী ব্যক্তিকে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন
জিলহজ মাসের করণীয়:
নখ-চুল না কাটা, রাত জেগে বেশি বেশি জিকির-তাসবিহ করা, প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা, আরাফার দিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ রোজা রাখা। আরও আছে যেমন, তাকবিরে তাশরিক পড়া, কুরবানি করা, ঈদুল আজহার নামাজ পড়া, ঈদ ও আইয়ামে তাশরীকে রোজা না রাখা।
মহান আল্লাহ মুসলিম জাতিকে জিলহজ মাসের করণীয়গুলো যথাযথভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
news24bd.tv রিমু